নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পুনর্বাসন, র‌্যাগিং, হল দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শেকৃবির দ্বিতীয় ফটক এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে ফিরে এসে আলমগীরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা।

মিছিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা “আলমগীরের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘দখলদারদের ঠিকানা শেকৃবিতে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো ছাত্রলীগ নেত্রী নিশিকে

অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাইবান্ধায় আ.

লীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীদের পুনর্বাসন করছেন। এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং করা, হল দখল ও ক্যান্টিন দখলের মতো ঘৃণিত কাজ নিয়মিত করে যাচ্ছেন। এমনকি ছাত্রলীগের অনুগতদের ছাত্রদলে ভিড়িয়ে নিজের দল ভারি করছেন। এজন্য আমরা তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি।

এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল আলমগ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী

খুলনার তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এ বি এম আলমগীর শিকদার। ২০১৬ সালে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ নেন। তবে জিততে পারেননি। ২০২১ সালে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, সেবারও পরাজিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।

সম্প্রতি তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল গঠিত ওই কমিটিতে ৫ নম্বর সদস্যের পদ পেয়েছেন আলমগীর শিকদার। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ২০২৬ সালে পরবর্তী ইউপি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতবছর থেকেই স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন শুরু করেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পুরোপুরি বিএনপিতে ভিড়ে যান।

ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল বাশার বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আলমগীর কবির বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। তার বাড়িতে তিন উপজেলার নেতারা দাওয়াত খেয়েছেন। তবে কমিটিতে তার নাম কে দিয়েছে আমি জানি না।

তবে সাচিয়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আলমগীর আগে কখনো বিএনপির সঙ্গে ছিল না। ৫ আগস্টের পর অনেকের সঙ্গে সেও নতুন বিএনপি হয়েছে।’

ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলী ইমরাজ জুয়েল বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আলমগীর শিকদার। বিএনপির যারা নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকেই কমিটিতে পদ পায়নি। এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না।

এ ব্যাপারে এ বি এম আলমগীর শিকদার বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলাম না। একটা সিস্টেম করে নৌকা প্রতীক পাই। কিন্তু আমাকে জোর হারিয়ে হারিয়ে দেওয়া হয়। গত ৩-৪ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছি। প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছি। এজন্য হয়তো আমাকে কমিটিতে রেখেছে।

তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী কাওছার আলী বলেন, ভুল করে তার নাম চলে এসেছে। তাকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যক্তিগত ভিডিও প্রকাশের পর সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিকে বহিষ্কার
  • বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী
  • নিজের ‘অশ্লীল’ ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট, বহিষ্কার হলেন বিএনপি নেতা
  • পূর্ণিমার ‘অন্য রকম আমি’ আর রোমানার ‘টিউলিপ মুহূর্ত’
  • ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালকদের ২ কোটি শেয়ার হস্তান্তর, পেয়েছেন যারা