শেকৃবিতে শাখা ছাত্রদল সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
Published: 3rd, March 2025 GMT
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পুনর্বাসন, র্যাগিং, হল দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শেকৃবির দ্বিতীয় ফটক এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে ফিরে এসে আলমগীরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা।
মিছিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা “আলমগীরের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘দখলদারদের ঠিকানা শেকৃবিতে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো ছাত্রলীগ নেত্রী নিশিকে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাইবান্ধায় আ.
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীদের পুনর্বাসন করছেন। এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা, হল দখল ও ক্যান্টিন দখলের মতো ঘৃণিত কাজ নিয়মিত করে যাচ্ছেন। এমনকি ছাত্রলীগের অনুগতদের ছাত্রদলে ভিড়িয়ে নিজের দল ভারি করছেন। এজন্য আমরা তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি।
এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল আলমগ র
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে তুচ্ছ ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬, কার্যালয় ভাঙচুর
নাটোরের লালপুর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়সহ কয়েকটি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১১ টার দিকে উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের আব্দুলপুর কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন আব্দুলপুর গ্রামের সেকেন্দার প্রামাণিকের ছেলে জুলহাস আলী (৫৫), রিপন আলীর ছেলে মো.রাফি (২২), করিম মন্ডলের ছেলে অন্তর মন্ডল (২১), জারেফ আলীর ছেলে শিশির হোসেন (১৪), হাজজাজের ছেলে মো. শুভ্র (৩০) ও আলমগীর হোসেন (৪৫)। এর মধ্যে জুলহাস আলী চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে বাওড়া রেল ব্রিজ এলাকায় মেলায় লটারি কেনাবেচা নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামের আত্মীয় ইসলামপুর গ্রামের নাহিদ ও তাঁর বন্ধু আরিফুলসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা জুলহাসের আত্মীয় রাফি, অন্তর ও শিশিরকে মারধর করে। এই ঘটনার জেরে রাতে পুনরায় দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় আরিফের সমর্থক শুভ্র ও কালামের নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালসসহ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের জুলহাস আলী, শুভ্র ও আলমগীরসহ ছয়জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলী বলেন, ‘আমাদের অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হককে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।