রাখাল রাহার বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
Published: 3rd, March 2025 GMT
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য সাজ্জাদুর রহমান ওরফে রাখাল রাহার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সদস্যসচিব সাজ্জাদ হোসাইন বাদী হয়ে আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।
নালিশি মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২২ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ধার্য করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, আসামি সাজ্জাদুর রহমান ওরফে রাখাল রাহা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ধর্মকে হেয়প্রতিপন্ন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তিনি (বাদী) ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন। পরে তিনি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা-পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় তিনি আজ সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে মামলা করলেন।
মামলার আরজির সপক্ষে রাখাল রাহার বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ১৫০ জন আলেমসহ বিভিন্ন সংগঠনের বিবৃতি সাইবার ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুছ মিঞা ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি দায়ের করেছেন এক নারী।
গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে নালিশি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম। বিচারক নালিশি অভিযোগটি শুনানি শেষে আদেশের জন্য রেখেছেন।
আদালতে দাখিল করা নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল সুমা বেগমের শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থান ভাঙচুর করে জমি দখলের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান সুমা। খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তিনি বিরোধীপক্ষের অবস্থান নেন এবং অভিযোগকারী সুমা বেগমসহ তিন জনকে থানায় নিয়ে যান। পরে সুমা বেগমের পক্ষে কাজ করার জন্য এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন থানার ওসি ইউনুছ মিঞা ও এসআই নজরুল ইসলাম। তাদের দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিকে অপারগতা প্রকাশ করলে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ওসি এবং এসআই রাত ৯টা পর্যন্ত আটককৃতদের বেআইনিভাবে থানা হেফাজতে রাখেন। দীর্ঘ সময় থানা হেফাজতে রাখায় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধাহীনভাবে কবরস্থান ভাঙচুর করে জমি দখল করেন। এ ঘটনায় গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন, বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুমা বেগম। সেখান থেকে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভুক্তভোগী আদালতে নালিশি দায়ের করেছেন।
আরো পড়ুন:
হত্যাচেষ্টা মামলা: আসামি সুবর্ণা-অপুসহ ১৭ অভিনয়শিল্পী
ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই
এ বিষয়ে সুমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘ওসি মো. ইউনুছ মিঞা ও এসআই নজরুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। এ কারণে ভুক্তভোগী আদালতে নালিশি দাখিল করেছেন। আদালত নালিশকারীর অভিযোগ শুনেছেন এবং আদেশের জন্য রেখেছেন।’’
তবে, অভিযোগের বিষয়ে নাকচ করেছেন গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুছ মিঞা।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। রাস্তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় কাউকে থানায় এনে আটক করে রাখা বা টাকা দাবি করা হয়নি।’’
ওসি ইউনুছ মিঞা বলেন, ‘‘ওই নারী সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’
ঢাকা/পলাশ/রাজীব