ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য সাজ্জাদুর রহমান ওরফে রাখাল রাহার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সদস্যসচিব সাজ্জাদ হোসাইন বাদী হয়ে আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।

নালিশি মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২২ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ধার্য করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.

নূরে আলম। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মো. মামুন সিকদার।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, আসামি সাজ্জাদুর রহমান ওরফে রাখাল রাহা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ধর্মকে হেয়প্রতিপন্ন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তিনি (বাদী) ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন। পরে তিনি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা-পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় তিনি আজ সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে মামলা করলেন।

মামলার আরজির সপক্ষে রাখাল রাহার বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ১৫০ জন আলেমসহ বিভিন্ন সংগঠনের বিবৃতি সাইবার ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার, বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের ৬ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, চনপাড়া পূর্নবাস কেন্দ্রের ১নম্বর ওয়ার্ডের কিনাইমদীর ছেলে সোহেল, জাহাঙ্গীরের ছেলে চান মিয়া ও খালেকের ছেলে মনির হোসেন।

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত  আলী জানান, রোববার রাত ৩ টার দিকে রূপগঞ্জে চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের ৬ নম্বর ঘাট এলাকায় ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল নদীতে পথে চলাচলরত জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত সদস্য সোহেল, চান মিয়া ও মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।  

এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকি ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় জব্দ করা হয় বিভিন্ন সময়ে লুট হওয়া বেশ কয়েকটি ব্যাটারী।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ