Risingbd:
2025-04-02@19:32:15 GMT

অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’

Published: 3rd, March 2025 GMT

অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’

গত ২৩ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় ৯৭তম অস্কারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা। সেরা সিনেমা বিভাগে মনোনয়ন পায় ১০টি সিনেমা। এগুলো হলো— ‘আনোরা’, ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’, ‘আ কমপ্লিট আননোন’, ‘কনক্লেভ’, ‘ডুন: পার্ট টু’, ‘এমিলিয়া পেরেজ’, ‘আই এম স্টিল হেয়ার’, ‘নিকেল বয়েজ’, ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’, ‘উইকেড’।

বাংলাদেশ সময় ৩ মার্চ সকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটার হলে বসেছিল এবারের অস্কার আসর। সেরা সিনেমার পুরস্কার কার বরাতে, তা নিয়ে ছিল নানা জল্পনা। চূড়ান্ত আসর বসার আগেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন চলচ্চিত্র সমালোচকরা। তারা মনোনয়ন পাওয়া ১০টি থেকে ৪টি সিনেমা চূড়ান্ত করেন। তাদের অনুমান ছিল— ‘আনোরা’, ‘কনক্লেভ’, ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’, ‘এমিলিয়া পেরেজ’। এই চার সিনেমার মধ্যে থেকে একটি জিতবে সেরার পুরস্কার। সর্বশেষ ঝলমলে সন্ধ্যায় সবাইকে পেছনে ফেলে সেরা সিনেমার পুরস্কার জিতে নেয় ‘আনোরা’।

‘আনোরা’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন শন বেকার। এ সিনেমার জন্যই সেরা পরিচালক হিসেবে অস্কার পেয়েছেন শন, মাইকি ম্যাডিসন হয়েছেন সেরা অভিনেত্রী। সেরা মৌলিক চলচ্চিত্রের পুরস্কারও সিনেমাটির দখলে। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন শন বেকার। সেরা সম্পাদনার পুরস্কারও পেয়েছে সিনেমাটি।

আরো পড়ুন:

অস্কারে বাজিমাত করলেন যারা

সস্ত্রীক অস্কারজয়ী অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার

কুখ্যাত রাশিয়ান গ্যাংস্টারের ছেলে একজন স্ট্রিপ ড্যান্সারের প্রেমে পড়ে। তারপর দুজন বিয়ে করেন। কিন্তু সেই গ্যাংস্টার বিয়ে মেনে নেয় না। আদতে নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনের বাস্তবতা আর তাদের স্বপ্নের টানাপোড়েনের গল্প বলেছেন শন। সিনেমাটিতে স্ট্রিপ ড্যান্সারের চরিত্র রূপায়ন করেছেন মাইকি ম্যাডিসন।

গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপাম জিতে নেয় ‘আনোরা’। মূলত, সেই সময় থেকেই আলোচনায় রোমান্টিক-কমেডি-ড্রামা ঘরানার এই সিনেমা।

শন বেকারের সঙ্গে ‘আনোরা’ প্রযোজনা করেছেন নির্মাতার স্ত্রী সামান্থা কোয়ান। ২০২৩ সালে নিউ ইয়র্কে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ হয়। ২০২৪ সালের ২১ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। প্রদর্শনীর পর ১০ মিনিট ধরে দর্শকের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পায় এটি।

গত বছরের ১৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় ‘আনোরা’। দর্শকরা সিনেমাটি দেখতে চাইলে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভে দেখতে পারবেন। আগামী ১৭ মার্চ থেকে জিও হটস্টারে সিনেমাটি দেখতে পাবেন দর্শকরা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের দিনটা কেটে যায় কাজে, নিজের জন্য আর কিছুই থাকে না

জীবনের পড়ন্তবেলায় এসে ঈদের উৎসবকে যখন রোমন্থন করি, তখন স্মৃতির গভীরে হারিয়ে যাই। ছোটবেলায় ঈদ ছিল এক অন্য রকম আনন্দের উৎসব। নতুন জামা বানাতে দরজির দোকানে মাপ দিতে যাওয়া, তারপর নতুন জামা হাতে পাওয়ার পর সেটি লুকিয়ে রাখা, যেন কেউ আগে দেখে না ফেলে! ঈদের দিন সইদের সঙ্গে গ্রামে ঘুরে বেড়ানো, ভাই–বোনদের সঙ্গে স্টুডিওতে ছবি তুলতে যাওয়া—এসব আনন্দের মুহূর্ত আজও হৃদয়ে জাগরূক। মনে হয়, সময় যেন আটকে গেছে, আমি এখনো সেই শৈশব–কৈশোরের রঙিন দিনগুলোর মধ্যেই আছি। কিন্তু যখন বাস্তবতায় ফিরি, তখন সবকিছু বিমূর্ত হয়ে যায়, ধূসর ও বিবর্ণ মনে হয়। মনের অজান্তেই চোখের কোণে জল এসে জমে।

আমাদের ছোটবেলার ঈদ আজকের মতো জৌলুশময় ছিল না। মধ্যবিত্ত যৌথ পরিবারে ছিল আর্থিক টানাপোড়েন, ছিল পরিমিত জীবনের শিক্ষা। দাদা–দাদার ভাইদের বিশাল পরিবারের সদস্যদের জন্য রান্না হতো বড় বড় পাতিলে। ঈদের এক সপ্তাহ আগেই শুরু হতো প্রস্তুতি। পুরোনো শাড়ির পাড় জোড়া লাগিয়ে দরজা–জানালার পর্দা বানানো হতো, সোডা দিয়ে কাপড় ধোয়ার আয়োজন চলত। মুড়ি, চিড়া ও খই সংগ্রহ করে রাখা হতো ঈদের সকালে মলিদা তৈরির জন্য। ময়দার সঙ্গে রং মিশিয়ে কাঁঠালপাতায় গোলা লেপে শুকিয়ে বানানো হতো পিঠা। এত কাজ, এত পরিশ্রমের মধ্যেও ক্লান্তি ছিল না; বরং ঈদের প্রস্তুতিই ছিল এক অন্য রকম আনন্দ।

ঈদের দিন ভোরে সাবান দিয়ে গোসল করে নতুন ছাপা থান কাপড়ের ফ্রক পরার আনন্দ আজও মনে পড়ে। তারপর পরিবারের মুরব্বিদের সালাম করে বয়সভেদে চার আনা থেকে এক টাকা পর্যন্ত ঈদের সালামি পাওয়া ছিল আমাদের কাছে বিরাট প্রাপ্তি! ঈদের সকালের শুরু হতো মলিদা দিয়ে, এরপর গুড়ের পায়েস কিংবা গুড়ের সেমাই। দুপুরের খাবারে থাকত মুরগির মাংস আর আলুর ঝোল, যার স্বাদ আজও স্মৃতির পাতায় অমলিন।

তারুণ্যে পা রাখার পর ঈদের উৎসব বদলে গেল। বরিশালে পড়াশোনার সময় ঈদ পায় নতুন রূপ—সেমাই, ফিরনি, জর্দা, পোলাও–কোরমার ভিড়ে ঈদ যেন ভোজন উৎসবে পরিণত হলো। এরপর কর্মজীবন, বিয়ে ও সংসারের দায়িত্ব এসে ঈদের রং পাল্টে দিল। নারীদের জন্য ঈদ মানে তখন শুধুই স্বামী–সন্তান ও সংসারের তাগিদ।

আজকের ঈদ আর আমাদের শৈশবের ঈদের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। একসময় ঈদ মানে ছিল সীমিত সম্পদের মধ্যেও অপরিসীম আনন্দ। এখন ঈদের বাহারি আয়োজন, নতুন কাপড়–গয়না, খাবারের জৌলুশ বেড়েছে; কিন্তু সেই আনন্দ কোথায় যেন হারিয়ে গেছে! আগে একটা সাধারণ ফ্রকেই যে আনন্দ লুকিয়ে ছিল, এখন অসংখ্য পোশাকের মধ্যেও তা খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ, নারীদের ঈদ শুরু হয় গভীর রাতে—ফিরনি, সেমাই, হালিম, জর্দা, চটপটিসহ বাহারি রান্নার আয়োজন করে। সকালে রান্নার কাজ শেষ হতেই দুপুরের ও রাতের খাবারের প্রস্তুতি নিতে হয়। ফলে ঈদের দিনটাই কেটে যায় কাজে, নিজের জন্য কিছুই আর থাকে না।

অধ্যাপক শাহ্ সাজেদা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রান্না-খাওয়া পর্ব ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করলে নারীরাও আনন্দ করতে পারবেন
  • উৎসবে হজমের সমস্যা এড়াতে যা করবেন
  • ছোটবেলার ঈদ ঝামেলাবিহীন, সহজ-সরল ছিল: নুসরাত ফারিয়া
  • দল বেঁধে বেড়ানোর যে উৎসব ছিল, তা আর নেই, কী কঠিন বড় হওয়াটা
  • উৎসবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও হতাশা কাটাতে করণীয়
  • আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে ঈদ আয়োজন করা হবে: আসিফ মাহমুদ
  • একটা জিনিস বুঝেছি, বাবা-মা ছাড়া ঈদ করা কঠিন: ন্যান্সি
  • সেই সুযোগ এখন আর হয় নেই: ন্যান্সি
  • ঈদে সেই সুযোগ এখন আর হয় নেই: ন্যান্সি
  • ঈদের দিনটা কেটে যায় কাজে, নিজের জন্য আর কিছুই থাকে না