দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) থেকে পদত্যাগ করেছেন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। চলতি বছরের শুরুতে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন তিনি, তবে কয়েক মাসের মধ্যেই দায়িত্ব ছাড়তে হলো এই অভিজ্ঞ সংগঠককে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন হেলাল, যা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও সাফ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিজের পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হেলাল গণমাধ্যমকে বলেন, 'হ্যাঁ, আমি সাফের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। চিঠিতে ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করেছি। এ মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।'
২০১৫ সালে সাফের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া হেলাল চলতি বছরের শুরুতে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে মাত্র দুই মাসের মধ্যেই তিনি দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, 'হেলাল সাহেব পদত্যাগ করেছেন, তবে কেন করেছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। ওনাকে জিজ্ঞেস করলেই ভালো হবে।'
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৩২ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আলাউদ্দিন জেতালেন পারটেক্সকে
আলাউদ্দিন বাবু যখন ক্রিজে যাচ্ছিলেন তখন পারটেক্সের জয়ের সমীকরণ কঠিন ছিল না। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের দেওয়া ৩০০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পারটেক্সের ৬৭ বলে ৯৭ রান লাগত। কিন্তু হাতে তাদের উইকেট ছিল না।
আলাউদ্দিন ক্রিজে গিয়েছিলেন নয় নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিছুক্ষণ পরই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান শালেহিন রিফাত সাদ (১৩) ফেরেন সাজঘরে। সেখান থেকে জয়ের চিন্তা করা কঠিন ছিল। প্রাইম ব্যাংক টানা দ্বিতীয় জয়ের অপেক্ষার প্রহর গুনছিল। কিন্তু আলাউদ্দিন তাদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান।
৩২ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে। ২৪৩.৭৫ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৭ ছক্কা। তাতে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় নাটকীয়ভাবে। ৪৭ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ২ ওভার হাতে রেখে পারটেক্সকে ৩ উইকেটে দারুণ এক জয় এনে দেন আলাউদ্দিন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। ব্যাটিং ঝড় তোলার আগে বল হাতে ৬১ রানে ২ উইকেট নেন। তাতে তার দিনটা রাঙায় দারুণভাবে।
আরো পড়ুন:
মুশফিকময় দিনে অঙ্কনের ফিফটি, হৃদয়ের ঝড়
প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে ‘ফেল’ সাব্বির
টস হিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক শাহাদাত হোসেন দিপুর ৬৪ ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ৬৯ রানে ৮ উইকেটে ২৯৯ রানের পুঁজি পায়। শামীম আগের দিন ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন। আজ ৬০ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান ৬৯ রানের ইনিংস। শাহাদত ৫১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ রান করেন।
ইনিংসের শুরুতে নাঈম শেখ ৬২ বলে ৪৬ রান করেন। অধিনায়ক জাকির হাসান ৪৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস উপহার দেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বড় সংগ্রহ পেলেও পারটেক্সও জবাব দেয় দারুণভাবে।
দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ ও জসিম উদ্দিন সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হলেও রুবেল মিয়ার ৪১ ও সাব্বির রহমানের ৫৩ রানে ম্যাচে ফেরে তারা। এরপর চটজদলি কয়েকটি উইকেট হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি তাদেরকে। আহরার খানের ৩৬ বলে ৪৪ ও আলাউদ্দিনের শেষের ঝড়ে প্রথম জয় তুলে নেয় পারটেক্স।
প্রাইম ব্যাংকের বোলিং এদিন ভালো হয়নি। হাসান মাহমুদ ৮০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। নাজমুল অপু ৬১ রানে ২ এবং আরাফাত সানী ৫০ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল