জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহত পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে আজ সোমবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বনি আমিন মোল্লা। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকেও কোটাব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এই কোটা বৈষম্যকে বিলোপ করার জন্য যেই ২০১৮ সালে আন্দোলন করেছিলাম। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়। কিন্তু আমরা ৭ মাস পার না হতেই দেখছি, যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা তার বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা থাকতে পারে না।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র, তরুণ, জনতারা। যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, শুধুমাত্র আমরাই এই দেশের মালিক নয়। এর মালিক এ দেশের সবাই। আমরা মনে করি, একটা বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেভাবেই ২০২৪-এ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। মূলত একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান জন্য এই লড়াই।

বনি আমিন মোল্লা বলেন, রেলে কোটা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও কোটা আছে। কিন্তু সেখানকার কোটা নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে স্কুলে ভর্তিতে কোটাব্যবস্থায় দৃষ্টি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের বৈষম্য রোধ করতেই আমরা আন্দোলন করেছি। এই ছাত্রঅধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছি। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ প্রযক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা আবার বলছি, কোটাব্যবস্থা চালু রয়েছে, এর বিলুপ সাধন করতে হবে। যদি না করা হয়, ছাত্রঅধিকার পরিষদ তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন শুরু করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জাপানের ৩.২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) ২০২৪ সালে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এবং পরপর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোর খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ৩.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সহায়তা গ্রহণ করেছে।

রবিবার (২ মার্চ) জাপানের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. মি. সাইদা শিনিচি এবং WFP-এর প্রতিনিধি ও দেশের পরিচালক ডোমেনিকো স্কালপেলির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এসময় রাষ্ট্রদূত সাইদা বলেন, “আমি আশাবাদী যে এই প্রকল্পটি বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা সমূহের অবকাঠামো পুনর্বহাল করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পটি জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে বাড়ানোর জন্য মৌলিক। জাপান টেকসই সমাধানের দিকে কাজ করতে থাকবে এবং WFP-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতা করবে।”

রাষ্ট্রদূত বলেন, “এই সহায়তা তাত্ক্ষণিক খাদ্য প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে সহায়তা করবে। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তা, বাঁধ এবং ছোট আকারের সেতু, যা ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও ২০২৪ সালের মারাত্মক বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, একটি অনন্য জলবায়ু জরুরি পরিস্থিতির বছর, যা দেশজুড়ে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করেছে।”

এই সহায়তা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা - খুলনা, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, বরগুনা, মৌলভীবাজার ও কুড়িগ্রামে পাঁচ লাখ মানুষের উপকারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

WFP-এর বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ডোমেনিকো স্কালপেলি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সম্প্রদায়গুলোর বাজার ও অপরিহার্য সেবাগুলোর অ্যাক্সেসকে বাধাগ্রস্ত করেছে, যা পুনরুদ্ধারকে ধীর করেছে এবং মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করেছে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে সমর্থন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করে আমরা তাত্ক্ষণিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করব এবং তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়াব।”

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এবং সিলেট, যমুনা অববাহিকা ও পূর্বাঞ্চলের বন্যার পরে, WFP বাংলাদেশে ১২টি বন্যা-প্রভাবিত জেলায় প্রায় ১,৫০,০০০ পরিবারের তাত্ক্ষণিক সহায়তা প্রদান করেছে।

গত সেপ্টেম্বর থেকে, জাপান UNHCR এবং UNICEF-এর মাধ্যমে বন্যা-প্রভাবিত এলাকাগুলোতে ১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদান করেছে এবং পূর্ব বাংলাদেশে জরুরি ত্রাণ প্রদান করতে জাপান প্ল্যাটফর্মের জন্য ২ মিলিয়ন ডলারের জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়েছে, যা জাপানি এনজিওগুলোর একটি প্ল্যাটফর্ম। এছাড়াও, ঢাকা থেকে জাপানি বাণিজ্য ও শিল্প সমিতি এবং ঢাকা জাপানী সমিতি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারগুলোর সহায়তার জন্য মোট ২ লাখ টাকা দান করেছে। জাপান এই সপ্তাহে বন্যা প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধারের জন্য IOM-এর সাথে ৩.২ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ঢাকা/হাসান/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পাচ্ছেন গবি শিক্ষার্থী আলীনুর
  • ভর্তিতে নতুন কোটা বাতিলের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের
  • সাবেক মেয়র সূচনার ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাব জব্দ
  • জাপানে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে কোটা পাবেন জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের সন্তানরা
  • ভর্তিতে কোটা পাবেন জুলাই অভ্যুত্থানের যোদ্ধা-শহীদদের সন্তানরা
  • ভর্তিতে কোটার সুবিধা পাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরাও
  • ২০২৪ সালে দেড় লাখেরও বেশি মানুষের বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে গার্ডিয়ান লাইফ
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জাপানের ৩.২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা