তিন দিনের সরকারি সফরে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের উদ্দেশে আজ সোমবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর এই সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টগুলো এবং সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া সেখানকার জনসাধারণের সেবার উদ্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষী নির্মিত একটি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে সেনাপ্রধানের।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাঁচটি কন্টিনজেন্ট শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৯৬১ জন সেনাসদস্য শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আফ্রিকার সংঘাতপূর্ণ এই দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত অবস্থায় ১১ জন সেনাসদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিবির টাকা স্থানান্তর প্রসঙ্গে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

গত আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক ধাপে ১৩টি ভিন্ন ব্যাংকে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট) সরিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই অর্থ স্থানান্তর ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়ালে বিসিবি এক বিবৃতিতে তা অস্বীকার করে। এবার বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ জানান, অধিক মুনাফার লক্ষ্যে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে অর্থ সরাতেই বিসিবি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিসিবির অভ্যন্তরীণ নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কিনা, তা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখবে।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বিসিবির আয়ের একটি বড় উৎস এফডিআরের সুদের হার। আগে যেখানে ৭-৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাচ্ছিল, নতুন ব্যাংকগুলোতে সেটা বেড়ে হয়েছে ১১-১২ শতাংশ। এছাড়া, তিনি জানান, যেসব ব্যাংক থেকে অর্থ সরানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং সেসব ব্যাংকের প্রতি হলুদ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। তার ভাষায়, ‘কেউই চাইবে না নিজের অর্থ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকে রাখতে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বিসিবির অভ্যন্তরীণ নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখব। ফাইন্যান্স ডিরেক্টরের অনুমোদনসহ প্রক্রিয়াটি যথাযথ ছিল কিনা, সেটাও পর্যালোচনা করা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ