শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের লড়াই। আগেই নির্ধারিত হয়েছিল সেমিফাইনালের চার দল, তবে ম্যাচের সূচি নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত। গতকাল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত 'এ' গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রাখায় সেমিফাইনালের লাইনআপ চূড়ান্ত হয়েছে।

গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থাকা ভারত প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার, ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৪ মার্চ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৫ মার্চ লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত দুইটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ম্যাচে বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটিয়েছে, ফলে সেমিফাইনালের দিনেও বৃষ্টি হানা দিতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচের ভাগ্য কীভাবে নির্ধারিত হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

ভক্তদের জন্য স্বস্তির খবর হলো, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে কোনো কারণে খেলা না হলে পরদিন তা আয়োজন করা হবে। ৪ মার্চের সেমিফাইনাল না হলে ৫ মার্চ, আর ৫ মার্চের সেমিফাইনাল মাঠে না গড়ালে ৬ মার্চ রিজার্ভ ডেতে অনুষ্ঠিত হবে। একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে ৯ মার্চের ফাইনালের ক্ষেত্রেও।

এদিকে, ফাইনালের আয়োজক শহর নির্ভর করছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ফলের ওপর। যদি ভারত জয় পায়, তবে ফাইনাল হবে দুবাইয়ে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া জিতলে ফাইনালের আসর বসবে লাহোরে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল ফ ইন ল র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ

বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।

জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।

জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।

এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।

আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।

বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ