মঙ্গলবার (০৪ মার্চ, ২০২৫) বিকেলে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এই ম্যাচের আগে বিরাট ধাক্কা খেল অজিরা। তাদের ডানহাতি ওপেনার ম্যাথিউ শর্ট ছিটকে গিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে। গেল ২৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলার সময় ইনজুরিতে পড়েছিলেন শর্ট। আর সেই ইনজুরির কারণে তাকে ছিটকে যেতে হলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে।

তার পরিবর্তে অজিদের ১৫ সদস্যের দলে নেওয়া হয়েছে কুপার কনোলিকে। তার অন্তর্ভূক্তির বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়েছে আইসিসির ইভেন্ট টেকনিক্যাল কমিটি। বাহাতি ব্যাটসম্যান ও স্পিনার কনোলি অবশ্য অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ট্রাভেল রিজার্ভ হিসেবে এতোদিন ছিলেন। কনোলি মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেললেও দলে অফ স্পিনার কম থাকায় কনোলিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া।

কনোলিকে দলে নিলেও ধারনা করা হচ্ছে ভারতের বিপক্ষের ম্যাচে তাকে খেলানো হবে না। তার পরিবর্তে ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে পারেন জ্যাক ফ্রাসার-ম্যাকগার্ক। তার বিস্ফোরক ব্যাটিং বৈশিষ্ট্যের কারণেই হয়তো সুযোগ দেওয়া হতে পারে ম্যাকগার্ককে। যাতে দুবাইর কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া শুরুতে ভালো কিছু রান পেয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

বিসিবির বোর্ড মিটিং
কেন্দ্রীয় চুক্তি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতনবৃদ্ধিসহ আসছে যে সব সিদ্ধান্ত

‘ছাড় দিয়ে’ ঢাকা লিগে ক্রিকেটাররা

অবশ্য ম্যাকগার্কের সাম্প্রতিক ফর্ম খুব একটা ভালো নয়। তার সবশেষ সাত ম্যাচে ১৪ গড়ে রান করেছেন মাত্র ৯৮টি। নতুন বলে তাকে কিছুটা ধুকতেও দেখা গেছে। তারপরও নির্বাচকরা তার ওপর আস্থা রাখছেন। তাদের বিশ্বাস পাওয়ার প্লে’তে অস্ট্রেলিয়াকে একটি দুর্দান্ত সূচনা এনে দিতে পারবেন তিনি। আর সেটা যদি না হয় তাহলে মিডল অর্ডার থেকে কাউকে এসে ওপেনিং করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া ‘বি’ গ্রুপ থেকে রানার্স-আপ হয়ে শেষ চারে এসেছে। অন্যদিকে ভারত তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে শেষ চারে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিকাদার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ২ প্রকৌশলীকে হুমকির অভিযোগ

খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগের বিরুদ্ধে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই প্রকৌশলীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কুয়েটের একটি ভবনের ছাদের ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে লাভ আরও বেশি নির্ধারণের কথা বলেছিলেন ওই ঠিকাদার। এ নিয়ে প্রকৌশলীদের তিনি হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এ প্রেক্ষাপটে কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) মো. গোলাম কিবরিয়া সোমবার কুয়েট উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন। 

সূত্র জানায়, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপর ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজ নিয়েছেন মোল্লা সোহাগ। কাজটি কয়েকদিন আগে শুরু হয়। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে ঠিকাদার সোহাগ প্রথমে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম মামুনুর রশিদ এবং অন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে তিনি গোলাম কিবরিয়াকেও গালাগাল ও হুমকি দেন। পরে তিনি একই পরিচয় দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে ফোনে গালাগাল ও হুমকি দেন।

উপাচার্যের কাছে দুই নির্বাহী প্রকৌশলী লিখিত অভিযোগে বলেন, ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজের দর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মে ভ্যাট, আইটি ও ১০ শতাংশ প্রফিট বা লাভ (পূর্বনির্ধারিত) যুক্ত করে নির্ধারণ করেন। ঠিকাদার সোহাগ ১০ শতাংশ লাভ কেন যুক্ত করে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তাঁকে আরও বেশি লাভ দিতে হবে বলে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে জানান। এ কথা বলার পর প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও শেখ আবু হায়াতকে গালাগাল ও মারধরের হুমকি দেন সোহাগ। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াত বলেন, রোববার বিকেল ৩টার কিছু আগে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে– ‘তুই চেয়ারের পরে বসে সবাইরে ১০ লাখ ২০ লাখ টাকার কাজ দিস। আমাকে দিছিস টেন পারসেন্ট লাভে।’ এই বলে আমাকে যাচ্ছেতাই বলে গালাগাল করেন। পাঁচ মিনিট পর ফোন দিয়ে আমাকে দেখে ছাড়বেন, আমার বাড়ি আক্রমণ করবেন, ফুলবাড়িগেটে গেলে আমাকে দেখে নেবেন– এসব বলে হিুমকি দেন। 

নিজের সাংগঠনিক পরিচয় ও প্রকৌশলীকে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন মোল্লা সোহাগ। তবে কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। মোল্লা সোহাগ বলেন, আমার নেতার অর্ডার আছে– আমি কোনো জায়গায় কোনো টেন্ডারেও যাই না, কোনো ঠিকাদারিতেও নেই। আমার কোনো কাজ কুয়েটে চলে না। আমার ট্রেড লাইসেন্সই নেই, কাজ পরের কথা। আমি তাদের (প্রকৌশলী) ফোন দিয়েছিলাম, কথা হয়েছে, তবে কোনো হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়নি।

কোনো কাজ চলছে না, তাহলে প্রকৌশলীদের কার হয়ে ফোন দিয়েছিলেন– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আবু হায়াত ও গোলাম কিবরিয়াকে ফোন দিলে ভালোভাবে জানতে পারবেন।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ