চ্যাম্পিয়ন ম্যানইউর বিদায়, শেষ আটে ফুলহ্যাম ও ব্রাইটন
Published: 3rd, March 2025 GMT
ইংলিশ ‘এফএ’ কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবার শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিলো। রোববার (০২ মার্চ, ২০২৫) রাতে পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে তাদের টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ফুলহ্যাম। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়েছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ সময়ে (৪৫+১ মি.
এদিনে নিউক্যাসলকে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাইটন। দুই লাল কার্ডের নাটকীয় ম্যাচের ২২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আলেক্সান্ডার ইসাকের গোলে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল। তবে ৪৪ মিনিটে ইয়ানকুবা মিনতেহর গোলে সমতা ফেরায় ব্রাইটন। সেই সমতা নিয়ে শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ১১৪ মিনিটের মাথায় ড্যানি ওয়েলবেক গোল করে ২-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন। নিশ্চিত করেন ব্রাইটনের শেষ আটও।
আরো পড়ুন:
পয়েন্টে শীর্ষে বার্সা, গোলে লেভানডোফস্কি
ঘরের ছেলের ছোবলে হারল রিয়াল
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে নিউক্যাসলের অ্যান্থনি গর্ডন ও ৯০+১ মিনিটে ব্রাইটনের তারিক লাম্পতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বাকি সময় দল দুটি দশজন নিয়েই খেলে। সেখানে উতরে যায় ব্রাইটন।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব র ইটন ত সময়
এছাড়াও পড়ুন:
উচ্চশিক্ষায় বেছে নিতে পারেন ডেনমার্ক
জীবনযাত্রা ও শিক্ষারমানসহ নানা কারণে ডেনমার্ক উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগসহ নানা বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ডেনমার্ক এর শিক্ষার্থী নিশীথ দত্ত ।
উচ্চশিক্ষায় ডেনমার্ক কেন পছন্দ করা উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে নিশীথ জানান, ডেনমার্ক একটি পরিচ্ছন্ন উন্নত দেশ। কম খরচে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে লক্ষ্য স্থির করি দেশের বাইরে থেকে উচ্চশিক্ষা নেব। সে লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করি।
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন : ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হবে। ডেনমার্কের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো– আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়, ডেনমার্কের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ডেনমার্ক, আলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুল, রসকিল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেন। এ ছাড়া ডেনমার্কের আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন বিষয় বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডিপার্টমেন্ট এবং সাবজেক্ট নির্বাচন করতে হবে।
প্রস্তুতি যেভাবে শুরু : বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পরপরই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হল মোটিভেশনাল লেটার, রিকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশ পত্র এবং জব এক্সপেরিয়েন্স আইইএলটিএস পেপার। যেহেতু ডেনমার্কে আইএলটিএস বাধ্যতামূলক সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর মাথায় রেখে প্রস্তুতি ও পরীক্ষা দিতে হবে। এর পর dans.stads.dk এই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড ও নির্ধারিত আবেদন ফি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো প্রদান করতে হবে।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করে চূড়ান্ত বিষয় ক্রমানুসারে নির্বাচন করে দিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফলাফল জানিয়ে দেবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ সেমিস্টারের টিউশন ফি ৪ থেকে ৭ লাখ টাকার মতো বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করতে হবে। সেমিস্টার ফি প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসটি-১ ফর্ম প্রেরণ করবে। ফর্মটি পূরণ করে ভিএফএস এ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যেখাবে অ্যামবাসি ফি ৩০ হাজার টাকা এবং কেস অর্ডার আইডি ফি ৪২ হাজার টাকার মতো প্রদান করতে হবে। এরপর অ্যামবাসিতে প্রয়োজন অনুসারে ইন্টারভিউ এবং ফিঙ্গার এবং চোখের স্ক্যান করাতে হবে এবং পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর এম্বাসি ভিসা ইস্যু করবে।
সঙ্গী হবে স্পাউস ও সন্তান : ডেনমার্কে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি চাইলে আপনার স্পাউস এবং সন্তান সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ম্যারেজ সার্টিফিকেট এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জন প্রতি ১৫ লাখ টাকা করে দেখাতে হবে। তবে সুবিধা হচ্ছে এই টাকার সোর্স বিশ্ববিদ্যালয় বা অ্যামবাসি যাচাই করে না।
যে সব স্কিল জানা জরুরি : ডেনমার্কে কাজের ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো ভাষা। ডেনিশ ভাষা জানা থকলে কাজ পাওয়া সহজ হয়। রেস্টুরেন্ট কুকিং, ড্রাইভিং অন্যান্য সফট এবং হার্ড স্কিল থাকলে ভালো টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
কাজের সুযোগ : ডেনমার্ক এ স্কিল ভেদে নানা ধরনের কাজ করা যায় তবে শিক্ষার্থীদের জন্য রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, ক্লিনিং এবং সুপারশপ এ কাজের সুযোগ বেশি। শিক্ষার্থী সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময় কাজ করার সুযোগ থকলেও স্পাউস ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন।
পিআর ও অন্যান্য সুবিধা : ডেনমার্কে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ভাষা জানা অত্যন্ত জরুরি পাশাপাশি স্থায়ী চাকরি থাকাও অনেক ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। ডেনমার্কে বড় সুবিধা হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স লেখাপাড়ায় ৫ বছরের ভিসা পাওয়া যায়। এ ছাড়া সব কিছু ঠিক থাকলে ৭-৮ বছরের মধ্যে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।
ডেনমার্ক ইউরোপের অন্যতম একটি সুন্দর এবং অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ। স্বপ্নের দেশে যেতে চাইলে এখনই আপনার লক্ষ্য স্থির করুন সে লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করুন। v