পুলিশের জন্য কী না করেছি: সাবেক আইজিপি শহীদুল
Published: 3rd, March 2025 GMT
রাজধানীর কাফরুল থানাধীন এলাকায় আতিকুল ইসলামকে হত্যার মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে শহীদুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এ মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছিল। তাদেরকেও আদালতে হাজির করা হয়।
সকাল ১০টার দিকে তাদেরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে নেওয়া হয়। তাদেরকে আসামিদের জন্য রাখা ডকে রাখা হয়। এ সময় শহীদুল হক কাঠগড়ার একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে ছটফট করতে দেখা যায়। আইনজীবীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। তবে, কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কথা বলতে দেননি। তারা আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে বলেন। এরপরও আইনজীবীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন শহীদুল হক।
এরইমাঝে ১০টা ৭ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে ওঠেন। আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে মোহাম্মদপুর থানার এক মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর কামাল আহমেদ মজুমদারের বক্তব্য শোনেন। ১০টা ১৬ মিনিটে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
এরপর শহীদুল হক আবারও তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তাতে বাধা দেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। তারা শহীদুল হককে বলেন, যার সাথেই কথা বলেন না কেন, আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
পরে শহীদুল হক আক্ষেপের সাথে বলেন, “পুলিশের জন্য কী না করেছি।”
এরপর শহীদুল হকসহ অন্য আসামিদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি: কেসিসির পরিকল্পনা কর্মকর্তা
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কর্মকর্তার (প্ল্যানিং অফিসার) কোনো কাজ নেই বলে মন্তব্য করেন কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির-উল-জব্বার। তিনি বলেন, যে প্রকল্প আসে, তা বাস্তবায়ন হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। এর ৩১ ওয়ার্ডের কোনোটিতেই কোনো পরিকল্পনা নেই।
আজ মঙ্গলবার নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আবির-উল-জব্বার। এতে একটি প্রকল্পের পরিচিতি সভার আয়োজন করে ‘সিরাক-বাংলাদেশ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।
অনুষ্ঠানটির মুক্ত আলোচনাপর্বে আবির-উল-জব্বার বলেন, ‘যা এত দিন বলতে পারিনি, তা আজ বলছি। আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি। আমি যখন একটা প্রস্তাব দিই, তখন আমার ওপরের অথরিটি সেটি মাথায় নেয় না। এ কারণে আমার এক পার্সেন্টও প্ল্যান বাস্তবায়ন হয় না। সারা বাংলাদেশে একই সিস্টেম। প্ল্যানাররা সব সময়ই অবহেলিত।’
আক্ষেপের সুরে কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশে আগে প্ল্যানাররা প্ল্যান করেন, পরে আর্কিটেক্টরা ডিজাইন করেন। এরপরই কাজ করেন ইঞ্জিনিয়াররা। দিস ইজ দ্য সিস্টেম, সারা ওয়ার্ল্ডে। কিন্তু আমাদের দেশে হয় উল্টো। আগে ইঞ্জিনিয়াররা প্রোজেক্ট পাস করায় দেবেন, এরপর আমাকে বলবে, “এই টাকা এসেছে, এখন ডিজাইন করো।” এরপর আর্কিটেক্ট একটা ডিজাইন করেন, সেখানে আমার একটা মতামত দিতে হয়। ব্যস, উল্টোভাবে চলছে সারা বাংলাদেশ।’
যে প্রকল্পে রাজনৈতিক তদবির ভালো, সেটি দ্রুত পাস হয় জানিয়ে আবির-উল-জব্বার বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় একই শহরে একই রাস্তা বারবার খোঁড়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লস্কর তাজুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিতান কুমার মণ্ডল, কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত।