নীতিমালা ছাড়াই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত নীতিমালা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পক্ষে রিটে উল্লেখিত বিবাদী মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, সরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহসীন কবীর রকি। আদেশের পর ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বছরের পর বছর রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগে চূড়ান্ত অপব্যবহার করা হচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদেরও ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে, সাধারণ জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশংকা হয়। ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও হতাশাগ্রস্ত হন বিচারপ্রার্থীরা। তাই এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক। এজন্য গত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করতে পারেন। অথচ এই ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কেন, কিসের ভিত্তিতে আসামি ক্ষমা পাচ্ছে তার কোনো নীতিমালা নেই। এটি সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নীতিমালা না থাকায় রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকিরসহ অনেক আসামিকেই বিগত দিনে ক্ষমা করার পর এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত অপব যবহ র ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিফলে বিজয়ের সেঞ্চুরি, মোহামেডানকে জেতালেন ‘বিতর্কিত’ হৃদয় 

সেই পুরনো বৃত্তে ডিপিএল আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। অথচ অজানা কারণে কমিয়ে দেওয়া হয় তার নিষেধাজ্ঞা। কীভাবে নিষেধাজ্ঞা কমল তা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। 

‘বিতর্কিত’ ওই হৃদয় এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ডিপিএলের সুপার লিগে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। দিনের অন্য ম্যাচে গাজী গ্রুপের এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করলেও ১০ রানের জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। 

বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৪৭.৪ ওভারে ২২৪ রান করে অলআউট হয়ে যায় গুলশান। দলটির লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার শাকিল হোসেন ৫৭ রান করেন। জবাবে মোহামেডান ৪৬.৪ ওভারে জয় তুলে নেয়। চারে নেমে হৃদয় ৮৫ বলে ৬২ রান করেন। রিয়াদ ১০৩ বলে ৭১ রান করে আউট হন। আরিফুল ২৫ রান করে ম্যাচ জেতান।

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী ১৬ বল থাকতে ২৪৯ রান করে অলআউট হয়। দলটির ওপেনার শাহরিয়ার কমল ১০০ বল খেলে ৯৫ রান করেন। পারভেজ ইমন ও মিডলে মেহরব হোসেন ৪৫ করে রান যোগ করেন। জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ৫১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি খেলেন ১১৩ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। 

দলের অন্যরা ব্যর্থ হওয়ায় হেরেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। গাজী গ্রুপের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিকী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। শামসুর রহমান ২৭ রান যোগ করেন। তাদের ধসিয়ে দিতে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩টি এবং রিপন মন্ডল ও মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ