সেতু কর্তৃপক্ষ নবম থেকে ২০তম গ্রেডে নেবে ৬৬ জন, আবেদনের সময় বাড়ল
Published: 3rd, March 2025 GMT
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদে জনবল নিয়োগের আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ২ মার্চ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন।
গতকাল রোববার (২ মার্চ) ছিল আবেদনের শেষ সময়। প্রতিষ্ঠানে ১৬ ক্যাটাগরির পদে নবম থেকে ২০তম গ্রেডে ৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১.
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
২. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
৩. পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি–সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
৪. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি–সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
৫. পদের নাম: এস্টিমেটর/সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: সিভিল বিষয়ে অন্যূন চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)
৬. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৭
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৭. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৫০ শব্দ ও ইংরেজিতে ৮০ শব্দ; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমম ন র ড গ র অন য ন দ ব ত পদ র ন ম য গ যত
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মিরে হামলার সময় বেছে বেছে পুরুষদের গুলি চালানো হয়
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলা করে বন্দুকধারীরা। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, বন্দুকধারীরা হামলা চালানোর সময় নারী-পুরুষদের আলাদা করে বেছে বেছে পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। খবর বিবিসির।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভয়াবহ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)।
আরো পড়ুন:
কাশ্মিরে হামলার দায় স্বীকার করল টিআরএফ
জালিয়াতির মামলা, মহেশ বাবুকে তলব
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল মাত্র চার থেকে ছ’জন জঙ্গি। সবার হাতে ছিল একে-৪৭।
হামলার ঘটনায় কেউ স্বামী হারিয়েছেন, কেউ আবার পুত্র। পরিজনদের হারিয়ে শোকে পাথর অনেকেই। যাঁরা প্রাণ বাঁচিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরতে পেরেছেন তাদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। আহতদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন নারী বলেছেন, “জঙ্গিরা, আমি বলতে পারছি না ঠিক কতজন, একটি খোলা ছোট তৃণভূমির কাছের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে গুলি চালাতে শুরু করে।”
তিনি বলেন, “স্পষ্টতই তারা মহিলাদের ছাড় দিচ্ছিলেন এবং পুরুষদের দিকে গুলি চালাতে থাকল, কখনও একটি একটি করে, আবার কখনো একাধারে গুলি চলছিল ঠিক ঝড়ের মতো।”
ভারতীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পল্লবী রায় নামে আরেক নারীকে চিহ্নিত করেছে। যার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতদের মধ্যে ছিলেন। তিনিও বলেছেন যে, পুরুষদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে আশাবরী নামে এক তরুণী বলেন, “আমরা পাঁচ জনের একটি দল ছিলাম, আমার বাবা-মা সহ। আমরা পাহেলগাঁওয়ের কাছে বইসরান উপত্যকায় ছিলাম এবং যখন গুলি শুরু হয়েছিল তখন মিনি সুইজারল্যান্ড নামক একটি স্থানে ছিলাম। আমরা তৎক্ষণাৎ কাছের একটি তাঁবুতে সুরক্ষার জন্য ছুটে গেলাম। আরও ছয় থেকে সাতজন (পর্যটক)ও সেখানে উপস্থিত হলেন। গুলিবর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমরা সবাই মাটিতে শুয়ে পড়লাম। আমরা ভেবেছিলাম সন্ত্রাসী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে গুলিবর্ষণ হয়েছে। কিন্তু তারপর জঙ্গিরা আমাদের তাঁবুতে এসে আমার বাবাকে বাইরে আসতে বলল। বাবাকে কিছু একটা পড়তে দিয়েছিল জঙ্গিরা। তিনি তা পড়তে না পারায় তিনটি গুলি করে।”
তার বাবার হত্যার পর তার চাচার দিকে এগোয় জঙ্গিরা। আশাবরী বলছেন, ‘আমার চাচা আমার পাশেই ছিলেন। সন্ত্রাসীরা তখন তাকে লক্ষ্য করে চার থেকে পাঁচটি গুলি চালায়। তারা ঘটনাস্থলে থাকা আরও কয়েকজনকে গুলি করে। সাহায্য করার জন্য কেউ ছিল না।’
কাশ্মির দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল, কিন্তু পর্যটকদের উপর আক্রমণের ঘটনা বিরল।
এদিকে, হামলার ঘটনার পর পহেলগাঁও উপত্যকায় নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের অন্যান্য জায়গাও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতেই কাশ্মিরে পৌঁছেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সৌদি আরব সফরসূচি কাঁটছাঁট করে বুধবার সকালে দিল্লি ফিরে এসেছেন।
এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
ঢাকা/ফিরোজ