ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির যশোর অঞ্চলের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি যশোর প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।

এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিএমডি মো.

মাকসুদুর রহমান ও ডেভেলপমেন্ট উইং প্রধান একেএম মাহবুব মোরশেদ।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ব্যাংকের যশোর অঞ্চলের প্রধান মো. শফিউল আজম, ইভিপি মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ। সম্মেলনে যশোর অঞ্চলের সব শাখা প্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক সকল সংকট কাটিয়ে সাফল্য ও আস্থার সঙ্গে ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। গ্রামীণ জনপদে ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী আর্থিক সেবাসমূহ এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন নতুন স্কিম ও প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে এজেন্ট ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ