প্রেম, নারীর সামাজিক অবস্থান ও সাংস্কৃতিক সংঘাতের প্রতিচ্ছবির চলচিত্র ‘আনোরা’ জিতেছে ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের সেরা সিনোমার পুরস্কার। আজ সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসে অস্কারের এবারের আসর, সেখানে সিনেমাটিকে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
সিনেমাটি সেরা ছবি, অভিনেত্রী, পরিচালক, সম্পাদনা ও সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের পুরস্কার লাভ করে।
‘আনোরা’ সিনেমাটি পরিচালনার জন্য নির্মাতা শন বেকার পেয়েছেন সেরা পরিচালকের পুরস্কার; সিনেমাটিতে অভিনয় করে অস্কারে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন মাত্র ২৫ বছর বয়সী মাইকি ম্যাডিসন।
কুখ্যাত রাশিয়ান গ্যাংস্টারের ছেলে এক যৌনকর্মীর প্রেমে পড়েন। দুজন বিয়ে করেন; কিন্তু সেই গ্যাংস্টার বিয়ে মেনে নেন না। এমন গল্প নিয়ে শন বেকারের সিনেমা ‘আনোরা’। গত বছর কান উৎসবে স্বর্ণপাম জেতা সিনেমাটি আদতে নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনের বাস্তবতা আর তাদের স্বপ্নের টানাপোড়েনের গল্প।
গত বছর কান চলচিত্র উৎসবে সিনেমাটি স্বর্ণপাম জেতে। ওই সময় অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। কারণ, সেবারের উৎসবে হেভিওয়েট নির্মাতাদের হারিয়ে সেরার পুরস্কার জেতে আনোরা। কান ঘুরে এখন অস্কারেও সেরা সিনেমা এটি।
শন বেকারের সঙ্গে ‘আনোরা’ প্রযোজনা করেছেন নির্মাতার স্ত্রী সামান্থা কোয়ান। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে শুটিং হয় সিনেমাটির। ২০২৪ সালের ২১ মে কান উৎসবে প্রিমিয়ার হয় সিনেমাটির। প্রদর্শনীর পর ১০ মিনিট ধরে দর্শকের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পায়।
এবারের অস্কারে পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন কিইরিন কালকেইন এবং পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন জোয়ি সালডানা।
এবার সেরা অ্যানিমেশন ছবি (স্বল্পদৈর্ঘ্য) হিসেবে ‘ইন দ্য শ্যাডো অব সাইপ্রেস’, ফিচার অ্যানিমেশন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ‘ফ্লো’। সেরা মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইল বিভাগে পুরস্কার জিতেছে গেল বছরের অন্যতম আলোচিত ছবি ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডার টরেন্টোতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব
উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২। কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ১টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয় শপার্স ওয়ার্ল্ড এর পার্কিং লট থেকে। এসময় প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী বাঙালি পায়ে হেঁটে টায়রা এভিনিউ ধরে সমবেত হন ডেন্টনিয়া পার্ক শহীদ মিনার পাদদেশে।
টরেন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ডেন্টোনিয়া পার্কে বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে। এদিন শিশু কিশোরদের হাতে মুখ ও মুখোশ নিয়ে ছিল বৈশাখী মঙ্গলশোভা যাত্রা।
আয়োজকরা জানান, নবপ্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য।