‘এমিলিয়া পেরেজ’ নয়, পুরস্কার জিতল ব্রাজিলের সিনেমা
Published: 3rd, March 2025 GMT
‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমায় আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করে পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন জোয়ি সালডানা। তবে সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমার পুরস্কার জিততে পারল না সিনেমাটি, এই পুরস্কার পেল ব্রাজিলের সিনেমা ‘আই য়্যাম স্টিল হেয়ার’। খবর ভ্যারাইটির
মেক্সিকোর চার প্রতিষ্ঠিত নারীর গল্প ‘এমিলিয়া পেরেজ’, যাঁরা নিজেদের মতো করে সুখী হতে চান। এর মধ্যে আছে একজন কুখ্যাত মাদকসম্রাজ্ঞী, যে নিজের ভুয়া মৃত্যুর খবর প্রচার করে নতুন জীবন শুরু করতে এক আইনজীবীর সাহায্য চান। এরপর কী হয়, তা নিয়েই জ্যাক অঁদিয়ারের সিনেমাটি। গোল্ডেন গ্লোবে সর্বোচ্চ পুরস্কার জেতা সিনেমাটি অস্কারেও সবচেয়ে বেশি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল। কিন্তু মূল আসরে বড় পুরস্কার পাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে চমকে দিয়েছিলেন ফিরনান্দা তোরেজ।
‘আই য়্যাম স্টিল হেয়ার’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হত্যার ৩২ বছর পর রায়, ১ জনের যাবজ্জীবন
জামালপুর সদরের মেষ্টাতে মোজাম্মেল হক হত্যা মামলার ৩২ বছর পর একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবু বকর ছিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. হাফিজুর রহমান সরিষাবাড়ি উপজেলার ঢুরিয়াভিটা গ্রামের মৃত রুহুল আমীনের ছেলে। এছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী থানার গোবিন্দ নগর (বয়রা) গ্রামের মো. মতিয়ার রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে আজাদ, পাখাডুবি গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে গোলাম রব্বানী ওরফে রব্বানী, জসীম উদ্দিনের ছেলে ওমর আলী ও জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া দেওয়ানীপাড়া গ্রামের মরহুম মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. শওকত আলী।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত পি.পি আইনজীবী এ.কে.এম নাজমুল হুদা জানান, প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ও নিহত মোজাম্মেল হক বাল্য বন্ধু ছিলেন। ১৯৯৩ সালের ২৩মে বিকালে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে মোজাম্মেল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান হাফিজুর রহমান। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি মোজাম্মেল হক। পরদিন ২৪মে মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল পারিল গৌরিপুর গ্রামে কাঁচা রাস্তার উপর মোজাম্মেল হকের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর দাফন করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২৮মে নিহত মোজাম্মেল হকের বড় ভাই শাহজাহান ছবি দেখে তার ভাইকে শনাক্ত করেন। পরে জামালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার দীর্ঘ তদন্তের পর ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৩২ বছর পর এই রায় দেন আদালত। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. ফজলুল হক।
ঢাকা/শোভন/এস