কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
Published: 3rd, March 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় কিশোরগঞ্জের একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার (২ মার্চ) পৃথক স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ (৫২) এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর রাজকুন্তি গ্রামের জিয়া উদ্দিন (৪৮)।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় র্যাব পরিচয়ে শিক্ষার্থীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার এক
পটুয়াখালীতে ইয়াবা ও ১৬ মাদক পারচারকারী আটক
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ ও বিস্ফোরক আইনে গত বছরের ২৩ অক্টোবর করিমগঞ্জ থানায় মামলা হয়।
অপরদিকে, দুুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কালটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিয়া উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ ও বিস্ফোরক আইনে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সদর থানায় মামলা হয়।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ক শ রগঞ জ উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্যাশন কোম্পানির আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরতের দাবিতে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ফ্যাশন কোম্পানি মোজাইক ব্র্যান্ডস লিমিটেড কর্তৃক আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত দেওয়াসহ পাঁচ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ২২ কারখানার শ্রমিক ও প্রতিনিধিরা। শনিবার রাজধানীর গুলশানে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের সামনে তাঁরা সমাবেশ করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে মোজাইক ব্র্যান্ডসের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দেউলিয়া অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনার জন্য ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা, আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া, জড়িতদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও ২২টি কারখানাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব খবর জানিয়েছে।
সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের শ্রমিকেরা আশা করে শ্রমিকদের পাওনা ও জীবন-জীবিকা নিশ্চিতে এবং ২২ কারখানা রক্ষায় হাইকমিশনারের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মোজাইক ব্র্যান্ডসকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এনে শ্রমিক ও ২২ কারখানার পাওনার প্রায় ২৫০ কোটি টাকা দ্রুত ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি মোজাইক ব্র্যান্ডস লিমিটেডের প্রতারণামূলক ব্যবসার কারণে বাংলাদেশের ২২ কারখানার শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে উল্লেখ করে তাসলিমা আখতার বলেন, গত তিন বছর ধরে মোজাইক ব্র্যান্ডস তাদের বকেয়া পরিশোধ না করায় জাস অ্যাপারেলস কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি অন্য কারখানাগুলো মজুরি পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। অবিলম্বে কারখানাগুলোর পাওনা টাকা ফেরত আনতে হবে এবং ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি মোজাইক ব্র্যান্ডসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করতে হবে।
২২ কারখানার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সহসভাপতি অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী, ২২ কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধি মইন আহমেদ, নারী শ্রমিক প্রতিনিধি রিবন বেগম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে পাঁচ দফা দাবির স্মারকলিপি পেশ করেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার ও ২২টি গার্মেন্ট কারখানার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের প্রতিনিধি আবদুল মালেক। অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। তিনি শ্রমিক নেতাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তবে এ জন্য জটিল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে তিনি জানান।