আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) খেলা। ট্রফি উন্মোচন, ক্যাপ্টেন্স ফটোসেশন সবই হয়ে গেছে আগে। বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল খেলাও দেখাবে। এই প্রথম ঢাকা লিগের ওয়ানডে ম্যাচের খেলা টিভিতে দেখাচ্ছে। স্পন্সরও পেয়েছে দুটি। এই দিকগুলো দেখলে মনে হতে পারে, সেরা লিগ হতে যাচ্ছে। বাহ্যিক এই চাকচিক্যে আড়ালে পড়ে গেছে খোলসের ভেতরটা। যাদের জন্য খেলা, সেই ক্রিকেটাররা ক্লাবের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মানী পাচ্ছেন না।
অনেককে ৫০ হাজার টাকায় খেলতে হচ্ছে লিগে; যাকে বলে পেটে-ভাতে খেলা। মুস্তাফিজুর রহমানের মতো বাঁহাতি পেসার দলই পাননি। লিটন কুমার দাস বাধ্য হয়ে খেলছেন নবাগত গুলশান ক্লাবে। ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ম্যাচ ফি চাওয়া লিটন এখন হয়তো নামমাত্র সম্মানী নিয়ে খেলবেন। জানা গেছে, লিটনকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। শূন্যতা আরও আছে, আগের মৌসুমে বিদেশি খেলানোর কোটা ফেরানো হয়নি। এবারও লিগ হচ্ছে সম্পূর্ণ দেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে। মোহামেডান স্পোর্টিং ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ছাড়া বাকি ১০টি ক্লাব মোটামুটি মানের দল। সেদিক থেকে বলা যায়, ভালোমন্দ মিলিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ডিপিএল।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রভাব ডিপিএলে ভালোভাবেই পড়েছে। চ্যাম্পিয়ন আবাহনী মাঝারি মানের দল হয়ে গেছে। অথচ গত মৌসুমেই কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জাতীয় দলের সিংহভাগ ক্রিকেটার নিজের হাতে রেখেছিলেন। আবাহনীর রিজার্ভবেঞ্চও ছিল দ্বিতীয় জাতীয় দল। শিরোপাও জিতেছিল তারাই। সেই রামও নেই, রাজত্বও নেই। পুরোনো পোড়খাওয়া সংগঠকদের হাতে ফিরে গেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির পরিচালনার দায়িত্ব। বিসিবির সুবিধা কাজে লাগিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামা হচ্ছে না আকাশি-নীলদের। ব্যাকফুটে থেকেই আজ উদ্বোধনী রাউন্ডে আবাহনী মুখোমুখি হবে নবাগত অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের।
ওপেনিং ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কোচ হান্নান সরকার, ‘আমাদের দলটি ভালোই। একটা ভারসাম্য আছে। প্রস্তুতি খারাপ হয়নি। ক্লাবের পরিবেশও ভালো। আশা করি, কাল (আজ) প্রথম ম্যাচটি ভালো খেলতে পারব।’
জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত লিড দেবেন চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে। অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোচ হান্নানেরও প্রত্যাবর্তন। নিজের কোচিং সত্তাকে মেলে ধরতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি। উদ্বোধনী রাউন্ডের প্রথম দিন বিকেএসপিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ– মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের প্রতিপক্ষ নবাগত গুলশান ক্লাব। সাদা-কালো শিবিরের অধিনায়ক তামিম ইকবাল আবার গুলশান ক্লাবের কর্মকর্তা। এই ম্যাচটি টিভিতে সম্প্রচার করা না হলেও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
মোহামেডান অধিনায়ক তামিম বলেছেন, ‘আমি যদি ওদের বিপক্ষে দ্রুত আউট হয়ে যাই, তাহলে কি বলবেন ইচ্ছা করে আউট হয়েছি! হ্যাঁ, আমি দলের সঙ্গে আছি। দলটি আমার না কিন্তু, এটা আপনারা (সংবাদমাধ্যম) করেছেন। আমি শুধু স্পন্সর এনে দিয়েছি। তাই স্বার্থের দ্বন্দ্বের কোনো কারণই নেই।’
বিকেএসপির আরেক মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব খেলবে রূপগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। ব্যাংকের কোচ তালহা যুবায়ের বলেন, ‘এবার সবার জন্য সমান সুযোগ। যে দল ভালো খেলবে, শিরোপা জেতার সুযোগ থাকবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, ভালো খেলে করপোরেট দলটিকে শিরোপা উপহার দিতে। এ রকম দল থাকলে খেলোয়াড় ও বোর্ডের জন্য ভালো। লিগের সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। এবার পিছিয়ে পড়লে ফিরে আসা কঠিন। চেষ্টা করব, কম শক্তির দলগুলোর বিপক্ষে পুরো পয়েন্ট নিতে।’
গত ১৫ বছর একের পর এক শিরোপা জিতেছেন খালেদ মাহমুদ। এবার তিনি কাজ করছেন নবাগত গুলশান ক্লাবে। তিনিও চান চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভালো কিছু করতে, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে ওল্ডডিওএইচএসে যেভাবে কাজ করেছি, সেই অনুভূতি আবার পাচ্ছি। চেষ্টা করব, ভালো করতে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।
ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।