Samakal:
2025-03-03@14:29:16 GMT

প্রাণের লিগে স্পন্দের ছোঁয়া

Published: 3rd, March 2025 GMT

প্রাণের লিগে স্পন্দের ছোঁয়া

আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) খেলা। ট্রফি উন্মোচন, ক্যাপ্টেন্স ফটোসেশন সবই হয়ে গেছে আগে। বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল খেলাও দেখাবে। এই প্রথম ঢাকা লিগের ওয়ানডে ম্যাচের খেলা টিভিতে দেখাচ্ছে। স্পন্সরও পেয়েছে দুটি। এই দিকগুলো দেখলে মনে হতে পারে, সেরা লিগ হতে যাচ্ছে। বাহ্যিক এই চাকচিক্যে আড়ালে পড়ে গেছে খোলসের ভেতরটা। যাদের জন্য খেলা, সেই ক্রিকেটাররা ক্লাবের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মানী পাচ্ছেন না। 

অনেককে ৫০ হাজার টাকায় খেলতে হচ্ছে লিগে; যাকে বলে পেটে-ভাতে খেলা। মুস্তাফিজুর রহমানের মতো বাঁহাতি পেসার দলই পাননি। লিটন কুমার দাস বাধ্য হয়ে খেলছেন নবাগত গুলশান ক্লাবে। ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ম্যাচ ফি চাওয়া লিটন এখন হয়তো নামমাত্র সম্মানী নিয়ে খেলবেন। জানা গেছে, লিটনকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। শূন্যতা আরও আছে, আগের মৌসুমে বিদেশি খেলানোর কোটা ফেরানো হয়নি। এবারও লিগ হচ্ছে সম্পূর্ণ দেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে। মোহামেডান স্পোর্টিং ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ছাড়া বাকি ১০টি ক্লাব মোটামুটি মানের দল। সেদিক থেকে বলা যায়, ভালোমন্দ মিলিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ডিপিএল।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রভাব ডিপিএলে ভালোভাবেই পড়েছে। চ্যাম্পিয়ন আবাহনী মাঝারি মানের দল হয়ে গেছে। অথচ গত মৌসুমেই কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জাতীয় দলের সিংহভাগ ক্রিকেটার নিজের হাতে রেখেছিলেন। আবাহনীর রিজার্ভবেঞ্চও ছিল দ্বিতীয় জাতীয় দল। শিরোপাও জিতেছিল তারাই। সেই রামও নেই, রাজত্বও নেই। পুরোনো পোড়খাওয়া সংগঠকদের হাতে ফিরে গেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির পরিচালনার দায়িত্ব। বিসিবির সুবিধা কাজে লাগিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামা হচ্ছে না আকাশি-নীলদের। ব্যাকফুটে থেকেই আজ উদ্বোধনী রাউন্ডে আবাহনী মুখোমুখি হবে নবাগত অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের। 

ওপেনিং ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কোচ হান্নান সরকার, ‘আমাদের দলটি ভালোই। একটা ভারসাম্য আছে। প্রস্তুতি খারাপ হয়নি। ক্লাবের পরিবেশও ভালো। আশা করি, কাল (আজ) প্রথম ম্যাচটি ভালো খেলতে পারব।’ 

জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত লিড দেবেন চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে। অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোচ হান্নানেরও প্রত্যাবর্তন। নিজের কোচিং সত্তাকে মেলে ধরতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি। উদ্বোধনী রাউন্ডের প্রথম দিন বিকেএসপিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ– মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের প্রতিপক্ষ নবাগত গুলশান ক্লাব। সাদা-কালো শিবিরের অধিনায়ক তামিম ইকবাল আবার গুলশান ক্লাবের কর্মকর্তা। এই ম্যাচটি টিভিতে সম্প্রচার করা না হলেও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। 

মোহামেডান অধিনায়ক তামিম বলেছেন, ‘আমি যদি ওদের বিপক্ষে দ্রুত আউট হয়ে যাই, তাহলে কি বলবেন ইচ্ছা করে আউট হয়েছি! হ্যাঁ, আমি দলের সঙ্গে আছি। দলটি আমার না কিন্তু, এটা আপনারা (সংবাদমাধ্যম) করেছেন। আমি শুধু স্পন্সর এনে দিয়েছি। তাই স্বার্থের দ্বন্দ্বের কোনো কারণই নেই।’

বিকেএসপির আরেক মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব খেলবে রূপগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। ব্যাংকের কোচ তালহা যুবায়ের বলেন, ‘এবার সবার জন্য সমান সুযোগ। যে দল ভালো খেলবে, শিরোপা জেতার সুযোগ থাকবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, ভালো খেলে করপোরেট দলটিকে শিরোপা উপহার দিতে। এ রকম দল থাকলে খেলোয়াড় ও বোর্ডের জন্য ভালো। লিগের সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। এবার পিছিয়ে পড়লে ফিরে আসা কঠিন। চেষ্টা করব, কম শক্তির দলগুলোর বিপক্ষে পুরো পয়েন্ট নিতে।’ 

গত ১৫ বছর একের পর এক শিরোপা জিতেছেন খালেদ মাহমুদ। এবার তিনি কাজ করছেন নবাগত গুলশান ক্লাবে। তিনিও চান চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভালো কিছু করতে, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে ওল্ডডিওএইচএসে যেভাবে কাজ করেছি, সেই অনুভূতি আবার পাচ্ছি। চেষ্টা করব, ভালো করতে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষকের ৮ টাকার লেবু কয়েক হাত বদলের পর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়

দেশের উত্তরাঞ্চলে সবজির অন্যতম বড় পাইকারি মোকাম বগুড়ার মহাস্থান হাট। পাইকারি এ বাজারে আজ সোমবার বাগানের বড় আকারের একটি লেবু বিক্রি করে চাষি দাম পেয়েছেন ৮ টাকা। ব্যাপারীর একহাত ঘুরে এই লেবু আড়তদারের গুদামে পৌঁছার পর দাম বেড়ে খরচ পড়ে ১০ টাকা। আড়ত থেকে পাইকারদের হাত ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানের পসরা পর্যন্ত যেতে এই লেবুর দাম বেড়ে হয় ১২ থেকে ১৩ টাকা।

পাঁচ হাত বদলের পর ১২ কিলোমিটার দূরে বগুড়ার শহরের ফতেহ আলী ও রাজাবাজারে এই লেবু খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাদের কিনতে হয়েছে প্রতিটি ২০ টাকা দরে। সেই হিসাবে প্রতিটি লেবুতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করছেন ১২ টাকা।

বগুড়ার মহাস্থান ও রাজাবাজারে লেবু বিক্রি করতে আসা কৃষক, ব্যাপারী, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে লেবুর উৎপাদক পর্যায়ে থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত ধাপে ধাপে দাম বৃদ্ধির এই চিত্র পাওয়া গেছে।

মহাস্থান হাটে আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাগান থেকে লেবু তুলে বস্তায় ভরে হাটে বিক্রি করতে এসেছেন চাষিরা। ব্যাপারীরা চাষিদের কাছ থেকে দরদাম করে এই লেবু কিনছেন।

হাটে আসা পাইকার রিফাত হাসান বলেন, স্বাভাবিক সময়ে হাটে ১ লাখ লেবুর সরবরাহ হয়। রোজা উপলক্ষে লেবুর চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু এখন লেবুর মৌসুম না হওয়ায় সরবরাহ আগের মতোই আছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় লেবুর দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী।

সদর উপজেলার কাজী নুরইল গ্রামের কৃষক ও লেবুচাষি আসহানুল কবির বলেন, তিনি এ বছর ৩ হাজার ৫০০ গাছের লেবুবাগান গড়েছেন। এক মাস পর বাগানের লেবু পুরোদমে বিক্রি করা সম্ভব হবে। এবার লেবুর ফলন খুব কম। ইতিমধ্যে বাগানের কিছু লেবু বাজারে বিক্রিও করেছেন। এবার বাগান থেকে প্রতিটি লেবু বিক্রি করে গড়ে আট টাকা দাম পেয়েছেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলার চাকলমা গ্রামের লেবুচাষি শাহনাজ বেগম বলেন, রোজার আগে বাগানের লেবু বিক্রি করে দাম পেয়েছেন গড়ে দুই থেকে আড়াই টাকা। এখন বাগানে নতুন করে ফুল এসেছে। দেড় মাস পর বাগান থেকে লেবু বিক্রি করা শুরু হবে। এখন বাজার থেকে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে লেবু কিনতে হচ্ছে।

মহাস্থান হাটের আড়তদার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাষি ও পাইকারদের হাত ঘুরে আড়ত পর্যন্ত আসার পর একটি লেবুর খরচ পড়ে ১২ টাকা। আড়ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই লেবু কিনে নিয়ে আরও ২ থেকে ৩ টাকা লাভ করেন। আরও এক হাত বদলের পর খুচরা ব্যবসায়ীরা এই লেবু প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছেন।

প্রতিটি লেবুতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করছেন ১২ টাকা। আজ সোমবার বিকেলে বগুড়া সার্কিট হাউসের সামনের সড়কে

সম্পর্কিত নিবন্ধ