চিটাগংয়ের বকেয়া নিয়ে বিসিবির কাছে আফ্রিদির নালিশ
Published: 3rd, March 2025 GMT
বিপিএল চলাকালেই সম্মানী না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। উপস্থাপিকা ইয়াশা সাগর এক প্রকার ঢাকা থেকে পালিয়ে গেছেন আংশিক সম্মানী নিয়ে। ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন কয়েক দিন আগে মিডিয়াকে বলেছিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে একটি টাকাও পাননি। একাদশ বিপিএলের রানার্সআপ চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্বাধিকারী সামির কাদেরের বিরুদ্ধে অর্থ না দেওয়ার ভূরি ভূরি অভিযোগ।
পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার আফ্রিদি গতকাল ঢাকার মিডিয়াতে কথা বলেছেন বকেয়া নিয়ে। সমকালকে হোয়াটসঅ্যাপে নিশ্চিত করেছেন চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বিসিবি সভাপতিকে ই-মেইল করার বিষয়টি। ফারুক আহমেদও মেইল পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মেন্টর হিসেবে আফ্রিদির সঙ্গে চুক্তি চিটাগং কিংসের। বিষয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ও আফ্রিদিকেই মেটাতে হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমি একটি মেইল পেয়েছি। এখানে বিসিবি সম্পৃক্ত না। খেলোয়াড় হলে বোর্ড থেকে উদ্যোগ নেওয়া যেত। কারণ চুক্তির একটি বাধ্যবাধকতা থাকে।’
আফ্রিদি জানান, মেন্টর হিসেবে ১ লাখ ডলার সম্মানীর চুক্তি হয়েছিল। তিনি পেয়েছেন মাত্র ১৯ হাজার ডলার। বিডিনিউজকে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে চুক্তি ছিল ১ লাখ ডলারের। কথা ছিল, বাংলাদেশে পা রাখার পর ৫০ হাজার ডলার দেওয়া হবে, টুর্নামেন্ট চলার সময় বাকি ৫০ হাজার দেবে। কিন্তু আমাকে মোটে ১৯ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে। কালকে দেব, দুই দিন পর দেব– এসব বলে বারবার ঘোরানো হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সব দায়িত্ব আমি পালন করেছি। টাকা দেওয়া হয়নি। সামিরের আচরণে হতবাক হয়ে গেছি। এমন কিছু আশা করিনি।’
আফ্রিদির সম্মানী না দেওয়া এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সামির কাদের চৌধুরী বলেন, ‘১ লাখ ডলারের চুক্তির বিষয়টি সত্য। বকেয়া টাকা চেয়ে মেসেজও দিয়েছেন। আমি অসুস্থ থাকার কারণে উত্তর দিতে দেরি হয়েছে। তাঁর অভিযোগ সম্পর্কে জানার পর মেসেজের উত্তর দিয়েছি। যেহেতু চুক্তি হয়েছে, এখন সমঝোতার মাধ্যমে টাকা দিয়ে দেব। কারণ তিনি পরবর্তী সময়ে ছিলেন না। তাঁকে আনার প্রয়োজন পড়েনি। সমাধান করে ফেলব।’
বকেয়ার খাতা বড় হওয়ায় রানার্সআপ চিটাগং কিংসকে প্রাইজমানির টাকা দিচ্ছে না বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজি বকেয়া পরিশোধ করার পর প্রাইজমানির টাকা দেওয়া হবে বলে বিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র য ঞ চ ইজ ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব