বিপিএল চলাকালেই সম্মানী না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। উপস্থাপিকা ইয়াশা সাগর এক প্রকার ঢাকা থেকে পালিয়ে গেছেন আংশিক সম্মানী নিয়ে। ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন কয়েক দিন আগে মিডিয়াকে বলেছিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে একটি টাকাও পাননি। একাদশ বিপিএলের রানার্সআপ চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্বাধিকারী সামির কাদেরের বিরুদ্ধে অর্থ না দেওয়ার ভূরি ভূরি অভিযোগ। 

পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার আফ্রিদি গতকাল ঢাকার মিডিয়াতে কথা বলেছেন বকেয়া নিয়ে। সমকালকে হোয়াটসঅ্যাপে নিশ্চিত করেছেন চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বিসিবি সভাপতিকে ই-মেইল করার বিষয়টি। ফারুক আহমেদও মেইল পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

মেন্টর হিসেবে আফ্রিদির সঙ্গে চুক্তি চিটাগং কিংসের। বিষয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ও আফ্রিদিকেই মেটাতে হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমি একটি মেইল পেয়েছি। এখানে বিসিবি সম্পৃক্ত না। খেলোয়াড় হলে বোর্ড থেকে উদ্যোগ নেওয়া যেত। কারণ চুক্তির একটি বাধ্যবাধকতা থাকে।’ 

আফ্রিদি জানান, মেন্টর হিসেবে ১ লাখ ডলার সম্মানীর চুক্তি হয়েছিল। তিনি পেয়েছেন মাত্র ১৯ হাজার ডলার। বিডিনিউজকে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে চুক্তি ছিল ১ লাখ ডলারের। কথা ছিল, বাংলাদেশে পা রাখার পর ৫০ হাজার ডলার দেওয়া হবে, টুর্নামেন্ট চলার সময় বাকি ৫০ হাজার দেবে। কিন্তু আমাকে মোটে ১৯ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে। কালকে দেব, দুই দিন পর দেব– এসব বলে বারবার ঘোরানো হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সব দায়িত্ব আমি পালন করেছি। টাকা দেওয়া হয়নি। সামিরের আচরণে হতবাক হয়ে গেছি। এমন কিছু আশা করিনি।’

আফ্রিদির সম্মানী না দেওয়া এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সামির কাদের চৌধুরী বলেন, ‘১ লাখ ডলারের চুক্তির বিষয়টি সত্য। বকেয়া টাকা চেয়ে মেসেজও দিয়েছেন। আমি অসুস্থ থাকার কারণে উত্তর দিতে দেরি হয়েছে। তাঁর অভিযোগ সম্পর্কে জানার পর মেসেজের উত্তর দিয়েছি। যেহেতু চুক্তি হয়েছে, এখন সমঝোতার মাধ্যমে টাকা দিয়ে দেব। কারণ তিনি পরবর্তী সময়ে ছিলেন না। তাঁকে আনার প্রয়োজন পড়েনি। সমাধান করে ফেলব।’ 

বকেয়ার খাতা বড় হওয়ায় রানার্সআপ চিটাগং কিংসকে প্রাইজমানির টাকা দিচ্ছে না বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজি বকেয়া পরিশোধ করার পর প্রাইজমানির টাকা দেওয়া হবে বলে বিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ র য ঞ চ ইজ ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ