ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন
Published: 3rd, March 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর ভোগরা বাইপাস এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি কারখানার শ্রমিকরা। এসময় তারা একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। নারী শ্রমিকের আত্মহত্যার জেরে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী ও পুলিশ।
সোমবার (৩ মার্চ) সকালে ৮টার দিকে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কে টায়ার ও কারখানার গাড়িতে আগুন দেন তারা।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর ভোগরা এলাকায় অবস্থিত প্যানারোমা এ্যাপারেলস লিমিটেড। গতকাল এই কারখানার একজন নারী শ্রমিক ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে আজ (সোমবার) সকাল ৮টার দিকে ওই কারখানাটির শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ভোগরা বাইপাস এলাকার ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে মহাসড়কে টায়ার ও কারখানার সামনে থাকা মোটরসাইকেল ও গাড়ি মহাসড়কে এনে আগুন দেন তারা। এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরো পড়ুন:
বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের ঢাকা-আরিচা সড়ক অবরোধ
মুন্সীগঞ্জে দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, “গতকাল এক নারী শ্রমিক ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পর্যাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে, আমাদেরকেও দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। ওই ঘটনায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। তারা কারখানার সামনে থাকা একটি গাড়ি সড়কে এনে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে (১৬) এক যুবক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওই যুবক গত বুধবার অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবার বিষয়টি থানায় জানায়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের নাম মো. আবুল কালাম (২৬)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িও একই গ্রামে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারে দাবি, মেয়েটির মা ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়ে তার বাবার কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই কিশোরীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন আবুল কালাম। চার মাস আগে দুজনের মধে৵ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কালাম। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন। তাঁর সহজ-সরল মেয়েটার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এ জন্য ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকেও আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।