দিনাজপুরের বিরামপুরে ফেসবুকে ‘সুইটহার্ট’ লিখে অস্ত্রসহ ছবি দিয়ে পোস্ট করার অভিযোগে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের বড়মাঠ থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক তরুণের নাম নাবিল হোসেন (২২)। তিনি বিরামপুর পৌর শহরের ইসলামপাড়া মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাবিল হোসেন তাঁর ফেসবুক আইডি নাবিল (নাবু) থেকে একটি রিভলবার ও ম্যাগাজিনের ছবি দিয়ে পোস্ট করেন। ওই ছবির নিচের ডান পাশে কোণে ইংরেজিতে লাল রঙের কালিতে ‘সুইটহার্ট’ লেখা ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সন্ধ্যায় নাবিল হোসেনকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। রাত ৯টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় বিরামপুর মহিলা কলেজ–সংলগ্ন বড়মাঠ থেকে নাবিলকে আটক করা হয়।

ওসি মমতাজুল হক বলেন, ‘গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ব্রেকআপ হওয়ায় নাবিল হোসেন তাঁর ফেসবুকে অস্ত্রসহ ডাউনলোড করা একটি ছবি দিয়ে পোস্ট করেছিল। সে ফেসবুকে অস্ত্রসহ একটি ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেছিল—“তুমি যদি যোগাযোগ না করো, তাহলে আমি আত্মহত্যা করব”। আজ রাতে বড়মাঠ থেকে নাবিলকে আটক করা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ