ইনজামাম-উল-হকের জন্মদিনেই তাহলে ওই ঘটনা!
‘ঘটনা’ না বলে দুর্ঘটনা বলাই ভালো। তাতেও বোধ হয় ব্যাপারটার গুরুত্ব পুরোপুরি বোঝানো যায় না। পাকিস্তান ক্রিকেটের, বলা ভালো বিশ্ব ক্রিকেটেরই ‘কালো দিন’টিকে কি আর শুধু দুর্ঘটনা বলে বোঝানো যায়!

লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামমুখী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে হামলা চালাল সন্ত্রাসীরা। ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী মারা গেলেন, দুজন পথচারীও। আহত হলেন শ্রীলঙ্কার পাঁচজন ক্রিকেটার। সেই টেস্ট তো বাতিল হলোই, বাতিল হয়ে গেল সিরিজই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে পাকিস্তানের নামের পাশেও লাল দাগ পড়ে গেল। ওই ঘটনার আগেও পাকিস্তান নিরাপদ ছিল না। তবে খেলা আর খেলোয়াড়েরা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু হয় না বলে একটা বিশ্বাস ছিল। সেটিই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ওই ঘটনায়। ১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিকে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে ১১ জন ইসরায়েলি অ্যাথলেট নিহত হওয়ার পর ক্রীড়াবিদদের সন্ত্রাসের শিকার হওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। এর পর থেকেই পাকিস্তান বিশ্ব ক্রিকেটের ‘নো-গো জোন’!

লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলে সন্ত্রসীদের গুলি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ