সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরাট শহরে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২ মার্চ) মিয়ানা চাক ডিঙ্গা এলাকায় একদল অজ্ঞাত হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে একটি গাড়িতে গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এই হামলার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা কাজ করেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে—তারা হলেন জাহিদ নাজিম (৩০), মুাবাশির (২৬), জুনাইর (৩০), জাভেদ ইকবাল (৩৩) ও রুখসার (৩৫)। অন্য একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

হামলার খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহগুলো হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

এ বিষয়ে পাঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাদেশিক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ ঘটনার প্রতিবেদন চেয়ে আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তাকে (আরপিও) নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানে ব্যক্তিগত শত্রুতা ও উপজাতিগত সহিংসতার জেরে গুলিবর্ষণের ঘটনা নতুন নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও বিচারে দুর্বল প্রসিকিউশনের ফলে দোষীরা মুক্তি পেয়ে যাওয়ায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।

এর আগে, গত জানুয়ারিতে করাচির তারিক রোডের কহকশান ভবনে গুলিতে নিহত হয়েছিলেন পৌর সংস্থার এক কর্মচারী।

সূত্র: জিও নিউজ

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ