শেষ ম্যাচেও আমিরাতের কাছে হার, তবুও গর্বিত কোচ বাটলার
Published: 3rd, March 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও হার এড়াতে পারল না বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচের মতোই ৩-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে আফঈদা খন্দকারের দল।
দুবাইয়ে আরব আমিরাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বিরতির পর একটি গোল শোধ করলেও হজম করতে হয় আরও একটি গোল। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে হারের সঙ্গেই শেষ হলো বাংলাদেশের নারী ফুটবলের নতুন এক অধ্যায়।
সাফজয়ী দলের ১৮ ফুটবলার কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় এই সফরে ছিলেন না। ফলে নতুন খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখেন ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার। দুই ম্যাচে ছয় গোল হজম করলেও দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট তিনি। ম্যাচ শেষে কোচ বলেন, ‘আমি শুধুই জয়ের চিন্তা করি না, আমি উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিই। এই এক সপ্তাহ বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
২৩ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে দুবাই সফরে থাকা বাটলার দ্বিতীয় ম্যাচে একাধিক খেলোয়াড়কে সুযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ অনেক নতুন খেলোয়াড়কে খেলিয়েছি, তারা ভালোই করেছে। প্রতিপক্ষ দলে দীর্ঘদেহী খেলোয়াড়ের আধিক্য এবং সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে তারা এগিয়ে। আমরা শারীরিকভাবে হয়তো ওদের সঙ্গে লড়াই করতে পারব না, কিন্তু মানসিক দৃঢ়তা ও খেলার চরিত্র দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। এই মেয়েরা সেটাই দেখিয়েছে, এজন্য আমি গর্বিত। এরাই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ভবিষ্যৎ।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে একক প্রার্থী দেবে ৫টি ইসলামি দল
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেবে কওমি সমর্থিত পাঁচটি ইসলামি দল। দলগুলো হলো— চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, মাওলানা মামুনুল হকের খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস অপর অংশ ও মুফতি ইজহারের নেজামে ইসলাম পার্টি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অফিসে ৫টি ইসলামী দলের এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
সভায় অন্য চার দলের নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি হজরত মাওলানা আব্দুল রব ইউসুফী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি।
সভায় সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ শেষে নির্বাচনসহ ৫টি বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়—
১. নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে কৌশলগত আলোচনা এগিয়ে নেওয়া।
২. আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত একটি ইসলামি কল্যাণরাষ্ট্র তৈরির ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, যাতে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে।
৩. ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা।
৪. প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান।
৫. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করা।
সভায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন এবং মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন, খেলাফত মজলিস অপর অংশের পক্ষে নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, যুগ্মমহাসচিব অ্যাড. জাহাঙ্গীর হুসেন এবং উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলী হাসান উসামা এবং নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষে মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী,অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ এবং জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ