নাটোরের বড়াইগ্রামে রুবেল হোসেন (২৩) নামে এক যুবকের চোখ উত্তোলন ও পায়ের রগ কাটার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম মুন্না (২০) নামে একজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। 

রবিবার (২ মার্চ) পাবনার মুলাডুলি উত্তরপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে সেনাবাহিনী।

এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি বড়াইগ্রাম বইমেলা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রুবেলকে তুলে নিয়ে যায়। 

ভুক্তভোগী রুবেল বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

রুবেলের চাচাতো ভাই সোহেল রানা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিশোর গ্যাং নেতা আশরাফুল ইসলাম মুন্নাসহ তার সহযোগী শিহাব, চ্যাপা সজীব নাটোরের বড়াইগ্রামের গোপালপুর ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া এলাকার এক মাদক কারবারির কাছে মাদক কিনতে আসে। এ সময় স্থানীয় যুবক রুবেলসহ এলাকার লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার জের ধরে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে রাজাপুরে অনুষ্ঠিত একুশে বইমেলা থেকে কিশোর গ্যাং সদস্যরা রুবেলকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা মুলাডুলি এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে মারধর করার পাশাপাশি ছুরি দিয়ে রুবেলের ডান চোখে ছুরিকাঘাত করে এবং ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবর রহমান বলেন, “ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তবে চোখ তুলে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি। চোখের নিচে আঘাত করা হয়েছে। চোখটি হয়ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিকে রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন, “নির্যাতনের শিকার রুবেলের চাচা হাসান আলী মন্ডল ৫ জনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”

ঢাকা/আরিফুল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ