বিশ্বের ১২৫ নগরীর মধ্যে আজ সোমবার সকালে ঢাকা আছে শীর্ষে। আজ সকাল ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ২০১। এ মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে বায়ুর মান ১৫১, রাজশাহীতে ১৬২ ও খুলনায় ১৭১। প্রতিটি শহরের বায়ুমান অস্বাস্থ্যকর।

রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (৪৯৭), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (৩৩২) ও মাদানি এভিনিউয়ের বে’জ এজওয়াটার (২৮০)।

রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৫ গুণ বেশি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গুলেরের গোলায় বার্সার সঙ্গে শিরোপা লড়াইয়ে থাকল রিয়ালও

হেতাফে ০: ১ রিয়াল মাদ্রিদ

লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার জন্য প্রতিটা ম্যাচই এখন বাঁচা-মরার। ন্যুনতম এক পয়েন্ট হারালেও এলোমেলো হয়ে যেতে পারে সব স্বপ্ন। তেমনই এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ মাঠে নেমে জয় পেয়েছে রিয়াল। তরুণ তুর্কি আর্দা গুলেরের দুর্দান্ত এক গোলে হেতাফেকে ১-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।

এই জয়ের পর তালিকার ২ নম্বরে থাকা রিয়াল পয়েন্টের ব্যবধানটা সাত থেকে নামিয়ে এনেছে চারে। ৩৩ ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট এখন ৭২। সমান ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৭৬। রিয়াল সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে লিগে নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে ৪ মে।

তবে এবারের লিগ শিরোপার লড়াইয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি রিয়াল–বার্সা খেলবে আগামী ১১ মে। এল ক্লাসিকোতে সেদিন একে অপরের মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচটিই হয়ে উঠতে পারে লা লিগার শিরোপা নির্ধারক।

আরও পড়ুনলিগ জয় থেকে আর কত ম্যাচ দূরে বার্সেলোনা১৮ ঘণ্টা আগে

সেই ম্যাচে হার রিয়ালকে ছিটকে দিতে পারে শিরোপা লড়াই থেকে। আর জিতলে বেঁচে থাকবে আশা। তার আগে অবশ্য সেল্তার বিপক্ষে ম্যাচটাও জিতে নিতে হবে রিয়ালকে।

হেতাফের বিপক্ষে আজ বেশ ঝুঁকি নিয়েই একাদশ সাজান কার্লো আনচেলত্তি। কিলিয়ান এমবাপ্পে কার্ড নিষেধাজ্ঞায় আগে থেকেই ছিলেন না। জুড বেলিংহাম ও রদ্রিগোকেও এদিন বেঞ্চে বসান রিয়াল কোচ। এই তিনজনের বদলে শুরু থেকে খেলেছেন এনদ্রিক, গুলের ও ব্রাহিম দিয়াজ।

চেনা স্কোয়াড না হলেও ম্যাচে দাপট ছিল রিয়ালেরই। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে বেশি হুমকিতে রাখে তারা। বিপরীতে হেতাফেও ভালোভাবে জবাব দিচ্ছিল রিয়ালকে। তবে সবাইকে চমকে দেন গুলের। তুরস্কের এই তরুণ ২১ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।

আরও পড়ুনএল ক্লাসিকোতে রিয়ালের ঘুমপাড়ানি ফুটবল ও ফ্লিকের আরেকটি মাস্টারক্লাস ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

এই গোলটাই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। তবে কৃতিত্ব দিতে হবে রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকেও। তাঁর নৈপুণ্যও রিয়ালকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচিয়েছে একাধিকবার। যার ফলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে আনচেলত্তির দল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ