গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দেবরের ছুরিকাঘাতে ভাবি মোসা. বৃষ্টি আক্তারের (২৪) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মো. ইলিয়াস মিয়া (২০) পালাতক। 

রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে কাপাসিয়া থানার বারিষাব ইউনিয়নের কুশদী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত বৃষ্টি আক্তারের বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের কুশদী গ্রামের প্রবাসী মো.

সেলিম মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত ইলিয়াস একই গ্রামের মো. আব্দুর রশিদের ছেলে।

আরো পড়ুন:

নাটোরে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা কালিয়া গ্রেপ্তার

১১৬ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

ওসি বলেন, ‍“আমরা বিষয়টি নিয়ে নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, ইলিয়াস ছিল বেকার ও মাদকাসক্ত। মাঝেমধ্যে প্রবাসী সেলিমের কাছে টাকা দাবি করতেন তিনি। সেলিম কখনো দিতেন, কখনো দিতেন না। রবিবার দুপুরে ইলিয়াসের মা কাজে ও বাবা নামাজে ছিলেন। এসময় বৃষ্টিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান ইলিয়াস। বৃষ্টিকে উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।” 

তিনি আরো বলেন, “নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ