দীর্ঘদিন ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইয়ন ফিল্মসের হাতে। তবে গত মাসে নতুন চুক্তির ফলে জেমস বন্ডের সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ আর থাকছে না উইলসন ও ব্রোকলির হাতে। অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিও ও ইয়ন ফিল্মসের মধ্যে চুক্তির আওতায় জেমস বন্ডের সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ আর থাকছে না মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলির হাতে।

সিনেমার নতুন পর্বের সিদ্ধান্ত থেকে অভিনয়শিল্পী নির্বাচনসহ সৃজনশীল সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবে এমজিএম। অস্কারের সঙ্গে ছয় দশকের সম্পর্ক জেমস বন্ডের।

লিসা। এএফপি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোসংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ ঘটনায় বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম রেজা এবং সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।

বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপলি বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি রেজাউল হক এই আদেশ দেন। 

এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তিন কর্মকর্তা রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। গত ৯ এপ্রিল রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। এই আদেশের বিষয়ে পরবর্তীতে কৃষি মন্ত্রণালয় আপিল করলে বুধবার আদালত আগের আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্যানেল আইনজীবী বদরুল ইসলাম বলেন, আদালতের এই আদেশের ফলে দোষীদের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত অব্যাহত রাখতে আর আইনগত কোনো বাধা থাকল না। মন্ত্রণালয়ের অবসরে পাঠানো এবং সাময়িক বরখাস্তের আদেশ সঠিক ছিল। 

বিএমডিএর ইডি শফিকুল ইসলামকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু রিলিজ অর্ডার না পাওয়ায় তিনি দপ্তর ছাড়তে পারছিলেন না। এর মধ্যে ২৩ মার্চ দুপুরে একদল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ইডির দপ্তরে ঢুকে পড়েন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান। তারা তাকে জোরপূর্বক দপ্তর ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এমনকি অফিস ত্যাগ করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে ৩০ মিনিট সময় চাইলেও তা দেওয়া হয়নি। পরে অফিস আদেশ ছাড়াই ইডির চেয়ারে বসে পড়েন জাহাঙ্গীর আলম খান।

ঘটনার পরপরই কৃষি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম এবং ২৫ মার্চ রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। ২৫ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এক অফিস আদেশে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন। এ ছাড়া সাময়িক বরখাস্ত করা হয় নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম রেজা ও সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদাশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে তদন্ত কমিটি মাঠে যেতে পারেনি। এখন আর তদন্তে বাধা নেই।

বিএমডিএ পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালকের পদটি একটি প্রশাসনিক পদ, যা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু তাকে চেয়ার থেকে টেনে নামানো এবং সেই চেয়ার দখল করা চাকরিবিধির গুরুতর লঙ্ঘন। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দরকার ছিল। তদন্তের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম খানের অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তারা আশা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ