সাবিনাদের শাস্তির সিদ্ধান্ত বাফুফে সভাপতির ওপর ছেড়ে দিয়েছে তদন্ত কমিটি
Published: 3rd, March 2025 GMT
কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে ১৮ নারী ফুটবলারের বিদ্রোহের রেশ যেন ‘শেষ হয়েও হয়নি শেষ’! বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও বিশেষ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ঝড়ের আভাসই দিচ্ছে!
গত ৩০ জানুয়ারি নারী ফুটবলের সংকট তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করেছিল বাফুফে। সাত দিনের মধ্যে সেই কমিটি বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেয়। সেই প্রতিবেদন বাফুফে এখনো প্রকাশ করেনি। কিন্তু সেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরই মূলত খুলতে থাকে সংকটের জট।
আরও পড়ুনগ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে ভারত, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ১০ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেদনের সুপারিশ আমলে নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি দুবারের নারী সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাবিথ। সেই বৈঠকের পর বিদ্রোহীরা তাঁদের অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সরে আসতে থাকেন। এর ঠিক পাঁচ দিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার মেয়েদের বিদ্রোহ শেষের বার্তা দেন। কিন্তু সেই বার্তার আড়ালেও ছিল অনেক অজানা কথা।
সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।