কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে ১৮ নারী ফুটবলারের বিদ্রোহের রেশ যেন ‘শেষ হয়েও হয়নি শেষ’! বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও বিশেষ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ঝড়ের আভাসই দিচ্ছে!

গত ৩০ জানুয়ারি নারী ফুটবলের সংকট তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করেছিল বাফুফে। সাত দিনের মধ্যে সেই কমিটি বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেয়। সেই প্রতিবেদন বাফুফে এখনো প্রকাশ করেনি। কিন্তু সেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরই মূলত খুলতে থাকে সংকটের জট।

আরও পড়ুনগ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে ভারত, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ১০ ঘণ্টা আগে

প্রতিবেদনের সুপারিশ আমলে নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি দুবারের নারী সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাবিথ। সেই বৈঠকের পর বিদ্রোহীরা তাঁদের অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সরে আসতে থাকেন। এর ঠিক পাঁচ দিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার মেয়েদের বিদ্রোহ শেষের বার্তা দেন। কিন্তু সেই বার্তার আড়ালেও ছিল অনেক অজানা কথা।

সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনা আলম কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোছা. কাওয়ালিন নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

আরও পড়ুনমডেল মেঘনা আলমের জামিন২৮ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মেঘনা আলম ও তাঁর পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় মেঘনা আলম ও তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ আনা হয়। ১৭ এপ্রিল এই মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

গতকাল সোমবার মেঘনা আলমের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. সানাউল্লাহ তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ৩০ দিনের আটকাদেশ নিয়ে ১০ এপ্রিল গাজীপুরে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি ওই কারাগারেই বন্দী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তাঁর আটকাদেশ প্রত্যাহার ও ধানমন্ডি থানার অন্য একটি মামলায় জামিন পাওয়ায় তাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মুক্তি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনএবার চাঁদাবাজি–প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো১৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ