বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো একজন। 

রবিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। কাউনিয়া থানার ওসি নাজমুল নিশাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. সুরুজ গাজী (৩৫)। তিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী। কাউনিয়া হাউজিং এলাকার কাঞ্চন গাজীর ছেলে। 

আরো পড়ুন:

পতেঙ্গা সৈকতে পুলিশের এস আইয়ের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১০ 

মাংস বিক্রির টাকা চাওয়ায় হামলা, যুবক নিহত

আহত ব্যক্তির নাম নয়ন গাজী। তিনি কাউনিয়া হাউজিং এলাকার তসলিম গাজীর ছেলে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাউজিং এলাকার বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন ওরফে সোনা শাহীনের সঙ্গে যুবদল কর্মী সুরুজের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। রবিবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শাহীনের নেতৃত্বে তার ছেলে ইমনসহ অন্যরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুরুজকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সুরুজকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে নয়নকেও তারা কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ওসি নাজমুল নিশাত বলেন, ‍“এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।”

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত বর শ ল য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইইউ

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।

ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।

ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।

তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ