সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন প্রতীক অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে ওই মহাসড়কে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট।

রোববার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কর্ণপাড়া এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা জানান, কারখানার কর্তৃপক্ষ ব্যাংক লেনদেনের জটিলতা দেখিয়ে শ্রমিকদের প্রায় চার মাস ধরে বেতন বন্ধ রাখে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বেতন ও ওভারটাইমের পাওনা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন রাত ১০টা পর্যন্ত শ্রমিকদের বসিয়ে রেখেও বকেয়া বেতন দিতে ব্যর্থ হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। রোববারও (২ মার্চ) বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। এদিনও কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দেয়। এরপরই শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও ওভারটাইমের টাকা পরিশোধের দাবিতে মহাসড়কে নেমে আসেন।

এসময় ব্যস্ততম ঢাকা-আরিচায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। ভোগান্তিতে পড়েন এ পথে চলাচলকারী যাত্রী-পথচারীরা।

এদিকে, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন শিল্প পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, শ্রমিকরা গত জানুয়ারি মাসের বেতন পাবে বলে আমরা জানি। কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ (রোববার) বেতন পরিশোধের জন্য সকাল থেকে শ্রমিকদের আশ্বাস দেয়। ইফতারের পর শ্রমিকরা কারখানার সামনে এসে জানতে পারেন আজও তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে না। এরপর তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

তিনি জানান, এক মাসের বেতন বকেয়ার কথা শুনেছি। চার মাসের অন্যান্য বকেয়া যেমন- ওভারটাইম ও টিফিনের বিল থাকতে পারে। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে তুলে দেওয়া হয়।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: পর শ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, বন্ধ মানবিক সহায়তাও

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ঘরবাড়ি ও তাঁবুর মতো আশ্রয়কেন্দ্রও ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার দেশটি। পাশাপাশি আট সপ্তাহ ধরে উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। এ পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে বর্ণনা করেছে। 

আলজাজিরার সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতভর এবং বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজার নুসেইরাতের কাছে একটি তাঁবুতে তিন শিশু এবং গাজা শহরের একটি বাড়িতে এক নারী ও চার শিশু নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক এক হামলায় স্থানীয় সাংবাদিক সাঈদ আবু হাসানাইনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ২৩২ সাংবাদিক নিহত হলেন।
 
গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার তারেক আবু আযুম বলেন, অবরুদ্ধ উপত্যকা স্পষ্টতই ইসরায়েলি সেনা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সাক্ষী হচ্ছে। এখানকার অক্ষত ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরাও অসহায় হয়ে পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
 
অধিকৃত পশ্চিম তীর পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ইসরায়েলের আক্রমণের কোনো বিরতি নেই, কোনো করুণা নেই, কোনো মানবতা নেই।’
 
প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল ত্রাণ সহায়তা অবরোধ করে রাখায় গাজার মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এটিকে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ‘ফিলিস্তিনি জীবনের ইচ্ছাকৃত ধ্বংসাবশেষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা এখন সম্ভবত ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর ১৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
 
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অপুষ্টির সম্মুখীন নারী ও শিশুদের বিপজ্জনক ও বিপর্যয়কর ক্ষতির কথা তুলে ধরেছে। তারা অনেকেই পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল এবং শিশুর খাবারের অভাবের মুখোমুখি হয়েছে। ইসরায়েলের গাজায় সাহায্য পাঠাতে অব্যাহত অস্বীকৃতি ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক আদালতের একটি আদেশকে লঙ্ঘন করে। সেই আদেশে দুর্ভিক্ষ ও অনাহার রোধে জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় সাহায্য পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
 
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) আগামী সপ্তাহে হেগে অনুষ্ঠিত গণশুনানির একটি সূচি প্রকাশ করেছে। সেখানে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ, এনজিওর কার্যকলাপকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলের আইনি বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া এ শুনানির আগে প্রায় ৪৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লিখিত বিবৃতি জমা দিয়েছে।
 
হাসপাতাল সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, বুধবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৮ মাসে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫১ হাজার ৩০৫ জন নিহত এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৬ জন আহত হয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ