বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) সৈয়দ জামিল আহমেদের পদত্যাগপত্র গতকাল রোববার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। পদত্যাগপত্র নথিতে উপস্থাপন করা হলেও এ বিষয়ে গতকাল কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, শিগগির তাঁর পদত্যাগপত্রে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অনুমোদন দেবেন। আজ সোমবার সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাবে, পরে তা কার্যকর হতে পারে।

এদিকে, সৈয়দ জামিলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিজির অভিযোগ শুধু অসত্য নয়, তা ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে সৈয়দ জামিলকে দু’বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি গত শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ সময় তিনি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বিষয়ে কিছু অভিযোগ করেন। 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৈয়দ জামিল পদত্যাগপত্রে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। পরে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু কারণ তুলে ধরেন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের বিষয়ে কিছু অসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন। উপদেষ্টার বিষয়েও অসত্য, মনগড়া ও ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, একটি ভিডিও নির্মাণের বিষয়ে চিঠিপত্র ছাড়া টাকা দেওয়ার জন্য চাপের বিষয়ে মহাপরিচালকের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও বানানো। গত ২০ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের ইউনেস্কো সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বিশেষ আমন্ত্রিত হয়ে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বাংলাদেশের পক্ষে ওই অনুষ্ঠানে মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস সংরক্ষণে বাংলাদেশের অবদান তুলে ধরে বিশেষভাবে নির্মিত একটি ১৫ মিনিটের ভিডিও ও একটি লাইভ প্রোগ্রাম উপস্থাপন করা হয়। ভিডিওটি নির্মাণের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির ২ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, মন্ত্রণালয়ের ৩৮ কোডের ‘সাংস্কৃতিক মঞ্জুরি-৩৮২১১১৫’ খাত থেকে বর্ণিত খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ করা হবে। উন্নত কারিগরি সহায়তা ও সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে ভিডিওটি নির্মাণের জন্য নিয়ম অনুযায়ী অগ্রিম কিছু টাকা নির্মাতাকে দেওয়ার অনুরোধ করা হলে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বাজেট বরাদ্দ না দিলে টাকা দেওয়া হবে না মর্মে সংস্কৃতি উপদেষ্টার অনুরোধ নাকচ করেন মহাপরিচালক। অথচ মহাপরিচালক এর আগে সাধুমেলা অয়োজনের জন্য শুধু উপদেষ্টার মুখের কথায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকার অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। পরে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সাধারণত জরুরি বিবেচনায় মন্ত্রণালয় তার দপ্তর সংস্থাগুলোর এ রকমভাবে কাজ এগিয়ে নেয়। তবে এবার আগেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আগে এ ভিডিও নির্মাণের জন্য যথোপযুক্ত চিঠি পাঠানো হলেও মহাপরিচালকের প্রতি সম্মান ও তাঁর একগুঁয়েমির জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ফের বাজেট বরাদ্দের বিষয় উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়। মহাপরিচালক এমনভাবে বিষয়টি অবতারণা করেছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে উপদেষ্টা তাঁর ব্যক্তিগত কাজের জন্য অনৈতিক টাকা দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় শিল্পকলা একাডেমির কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করেনি। মন্ত্রণালয় একাডেমির কোনো কাজ বন্ধ করতে বলেছে– এ রকম নজির নেই; বরং সব সময় শিল্পকলার কাজকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচিতে শিল্পকলা একাডেমির অনুরোধে মন্ত্রণালয় থেকে সাধারণ বাজেটের বাইরেও বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 
জুলাই বিপ্লবের পর শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত বাজেট বরাদ্দের বাইরেও সংস্কৃতি উপদেষ্টা ব্যক্তিগত আগ্রহে সাধুমেলা, জুলাই বিপ্লবের ওপর বিশেষ নাটক প্রযোজনাসহ নানা অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোনো আর্থিক বছরে বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি নিতান্তই অর্থ মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। তাই অপর্যাপ্ত বাজেট বিষয়ে অভিযোগ নিতান্তই অমূলক ও প্রশাসনিক অদক্ষতার বহিঃপ্রকাশ।

বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের মানববন্ধন     
একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সামনে গতকাল বিকেলে সৈয়দ জামিলকে ডিজি পদে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-শিল্পী-নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন হয়েছে। এ ছাড়া মানববন্ধন থেকে শিল্পকলার স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগিব নাঈম, মহিউদ্দিন রনি, আলোকচিত্রী মরিয়ম রুপা, মামদুদুর রহমান মুক্ত, ইব্রাহিম এলিন প্রমুখ।
রাগিব নাঈম বলেন, শিল্পকলার মতো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এসেও তারা নির্দেশনা জারি করছে। কোনো চিঠি না দিয়ে টাকা চেয়ে বসছে। আমলাতন্ত্রের পোষ্যতা উল্লেখ করে আলোকচিত্রী মরিয়ম রুপা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে যদি আমলাতন্ত্রের পোষ্য হতে হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আমরা চাই না।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জামিল যে অভিযোগগুলো করেছে, সেগুলো পরিষ্কার হওয়া দরকার। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান যাতে চলতে পারে, সে জন্য স্বায়ত্তশাসনের ব্যাপারটাও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল পকল এক ড ম পদত য গপত র ব জ ট বর দ দ উপদ ষ ট র অন ষ ঠ ন এক ড ম র শ ল পকল র জন য গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোবাসে গান বাজাতে বাজাতে প্রকৌশলীকে হত্যা 

হা-মীম গ্রুপের ‘দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার’ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আহসান উল্লাহকে হত্যার লোমহর্ষক তথ্য উঠে আসছে। ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসে উচ্চ শব্দে গান শুনতে শুনতে প্রথমে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। হাত-পা বাধা বেঁধে আহসানকে গাড়ির পেছনের অংশে নিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর পা দিয়ে বুক ও শরীরের নানা অংশে আঘাত করা হয়। একপর্যায়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা। পরে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাশ গুম করে। নিহতের পিঠ ছিল ক্ষতবিক্ষত। মাইক্রোবাসের ভেতরকার চিৎকার ও গোঙানির শব্দ যাতে বাইরে না পৌঁছে এ জন্য চার ঘণ্টা উচ্চ শব্দে গান ছেড়ে রাখা হয়। আদালতে আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

২৩ মার্চ হত্যার শিকার হন হা-মীমের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার আহসান। আশুলিয়ার কর্মস্থল থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকার বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এই ঘটনায় জড়িত চারজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাদের মধ্যে আহসানের গাড়ি চালক সাইফুল ইসলাম ও তার বন্ধু নুরুন্নবীও রয়েছেন। তারা এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ইসরাফিল ও সুজন ইসলাম আরও দু’জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তুরাগ থানা পুলিশ। জড়িতদের জবানবন্দি ও জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও টার্গেট করার কারণ উঠে এসেছে।  

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে চালক সাইফুল দাবি করেন- ১২ মার্চ হত্যার ছক চূড়ান্ত করা হয়। এটি বাস্তবায়নের পূর্ব পরিচিতি নুরুন্নবীকে ভাড়া করেন তিনি। এক সময় নুরুন্নবী ও সাইফুল একসঙ্গে গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। পুরো মিশন সফল করতে ইসরাফিল ও সুজনকে ম্যানেজ করেন নুরুন্নবী। ঘটনার দু’দিন আগে তুরাগ এলাকা রেকি করেন তারা। আহসানকে নিয়ে অফিস থেকে ফেরার পথে কোথায় প্রস্রাব করার নাম করে গাড়ি থামাবেন তা দেখিয়ে দেন। সাইফুল অন্যদের টোপ দেন- গাড়িতে আহসানকে জিম্মি করা গেলে অনেক টাকা আদায় করা সম্ভব হবে।

ছক মোতাবেক তুরাগ এলাকার পূর্ব নির্ধারিত স্পটে বিকেল ৪টার দিকে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন চালক। এরপর তার তিন সহযোগী মাইক্রোবাসে উঠে পড়েন। যাদের আগে থেকে ভাড়া করেন সাইফুল। তাদের মধ্যে দু’জন গাড়ির পেছনের আসনে আহসান উল্লাহ’র পাশে, অন্যজন বসেন চালকের বাম পাশের আসনে। প্রশ্রাব করার নাম করে মাইক্রোবাস থেকে নেমে যাওয়ার পর সাইফুল ফের গাড়িতে ফিরে নতুন নাটক সাজান। তিনি সহযোগীকে দেখে না চেনার ভান করে বলে উঠেন- ‘আপনারা কারা আমার গাড়িতে উঠেছেন।’ তারা কোনো উত্তর দেননি। এরপরই আহসানের হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। চোখ বাঁধা হয়নি। বাজানো হয় উচ্চ শব্দে গান। চারজনের কথোপকথন ও কর্মকাণ্ড দেখে অল্প সময়ের মধ্যে আহসান বুঝতে পারেন তারা সবাই একে অপরের পরিচিত। প্রাণে বাঁচতে আহসান তাদের ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার কথা জানান। তবে তারা সাড়া দেননি। 

বেড়িবাঁধ, গাবতলী, দিয়াবাড়ি রেলস্টেশন, ১৬ নম্বর সেক্টরে ঘুরাতে থাকেন। খুনের আগে গাবতলী এলাকায় আহসানকে ইফতার করান তারা। এরই মধ্যে তার ব্যাংকের কার্ড থেকে দু’টি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন জড়িতরা। এরই মধ্যে একটি নম্বর সাইফুলের স্ত্রীর নামে নিবন্ধন করা। আরেকটি নম্বর তার বোনের।  আরও ১০ হাজার টাকা কার্ড থেকে তুলে নেয় তারা। এছাড়া নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে। সব মিলিয়ে ৮৫ হাজার হাতিয়ে নেওয়া হয়। তার মধ্যে নুরুন্নবীকে মাত্র এক হাজার ও ইসরাফিলকে দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। সুজন কোনো টাকা পায়নি। ভাগের টাকা সবাইকে পরবর্তীতে দেওয়া হবে জানান সাইফুল। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন নুরুন্নবী। তখন সাইফুল সহযোগীদের বলেন- হত্যা না করলে একজনও বাঁচব না। এরপর অন্যরা তাদের হত্যা মিশনে সহযোগিতা করেন। 

তদন্ত সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা জানান, আহসানকে হত্যার কারণ হিসেবে দু’টি বিষয়ের কথা এখন পর্যন্ত দাবি করছেন চালক সাইফুল। প্রথমত- গত আগস্টে সামান্য দুর্ঘটনায় সাইফুলের মাইক্রোবাসের কিছু ক্ষতি হয়েছিল। এরপর সাইফুল নিজ উদ্যোগে ইন্সুরেন্স থেকে মেরামত বাবদ টাকা আদায় করতে সহায়তা করেন। তার ধারণা ছিল ওই টাকা থেকে একটি ভাগ আহসান তাকে দেবেন। তবে সেটা না দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার। আবার মাসে ১৯ হাজার টাকা বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ার মনক্ষুন্ন ছিলেন তিনি। সাইফুলের ভাষ্য- এ ক্ষোভ থেকে মালিককে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের ফন্দি আঁটেন।  

র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিক বিন হালিম সমকালকে বলেন, অফিস থেকে বাসায় না ফেরায় তুরাগ থানায় জিডি করেছিল পরিবার। এরপর শুরু হয় তদন্ত। একে একে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তুচ্ছ কারণে নৃশংসভাবে প্রকৌশলীকে হত্যা করা হয়েছে। 

জানা গেছে, ২৫ মার্চ দিয়াবাড়ির ১৬ নমম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের রাস্তার পাশ থেকে আহসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর র‌্যাব ছায়াতদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে গাইবান্ধা থেকে মূল পরিকল্পনাকারী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। ২৬ মার্চ লালমনিরহাট থেকে নূরন্নবী ও গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে ইসরাফিলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যব। সবশেষে ধরা হয় সুজনকে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফরহাদুজ্জামান নবীন বলেন, ছুরি, স্ট্যাম্প, ব্যাংকের চেক, ভিকটিমের মোবাইল ফোনসহ বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। ভয় দেখানোর জন্য ছুরি রাখা হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ