চাঁদাবাজি ইস্যুতে বিএনপিকে ভোটে ঘায়েলের কৌশল
Published: 3rd, March 2025 GMT
চাঁদাবাজিকে নির্বাচনী ইস্যুতে পরিণত করতে চাইছে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বীরা। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আটকাতে এ ইস্যুতে সরব জামায়াতে ইসলামী। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের দল এনসিপিও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সুর চড়া করার কথা বলছে। এ দু’পক্ষই চাঁদাবাজি প্রশ্নে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হিসেবে দেখাতে চাইছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, চাঁদাবাজি বন্ধে তারাও সোচ্চার। ছাত্রনেতাদের দলেও চাঁদাবাজ আছে। সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনার উল্লেখ করে তারা বলছেন, ‘সবারই আয়নায় নিজের চেহারা দেখা উচিত।’
বিএনপি নেতারা যদিও তাদের বিরুদ্ধে এমন প্রচারকে প্রকাশ্যে অতিরঞ্জিত বললেও চাঁদাবাজিতে বারবার নেতাকর্মীর নাম জড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তি রয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতারা চাঁদাবাজি, দখল, ক্ষমতার দাপটের মতো অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর হতে বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।
নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বিএনপিকে আগামী ভোটে চাঁদাবাজি প্রশ্নে বিপাকে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতারা। তারা নির্দিষ্ট করে বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীর একাংশ এবং বিএনপি নামধারীদের অপকর্মে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাধিকবার বলেছেন, অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় নয়। নেতাকর্মীদের তিনি বহুবার সতর্ক করেছেন।
তবে বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, দলটি ক্ষমতায় গেলে অপকর্ম করবে– গুজব ছড়িয়ে এমন বয়ান তৈরির অপচেষ্টা চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার কেন চাঁদাবাজদের প্রতি কঠোর হচ্ছে না– এ প্রশ্নও রয়েছে বিএনপি নেতাদের। জামায়াত এবং এনসিপি নেতাকর্মীরা নানা অপকর্ম করলেও, তা প্রচার হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।
৫ আগস্টের পর বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে চাঁদাবাজি, দখল, শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম পিন্টুর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন যুবক দিনদুপুরে গামছায় মুখ বেঁধে রামদা হাতে স্থানীয় বাজারে যান। পিন্টু মাইকে ঘোষণা দেন, তিনি যতদিন বেঁচে আছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন। সরকারি ইজারাদার যেই হোক, খাজনা তাঁকে দিতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী বাধা দিলে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এই ঘোষণার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঘটনার দিন তাঁকে বহিষ্কার করেছে যুবদল। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে।
তবে এ ঘটনার রেশ গড়িয়েছে রাজনীতিতে। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে জামায়াতের আমির ডা.
একই অবস্থান ছাত্রনেতাদের। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গত ডিসেম্বরে সরকারের উপদেষ্টা পদে থাকার সময়ে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘হাতবদল হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। আগে এক পক্ষ করত, এখন আরেক পক্ষ করছে।’
বিএনপি নেতারা এসব বক্তব্যের জবাবও দিচ্ছেন। তাদের ভাষ্য, নির্বাচনে ঠেকাতে বিএনপিকে চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির নাম জুড়তে চাইছে প্রতিদ্বন্দ্বীরা। জামায়াত ও ছাত্রনেতারা প্রমাণ করতে চাইছেন, যা আওয়ামী লীগ, তা-ই বিএনপি।
জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু সমকালকে বলেন, ‘বিতর্কিত করতেই একটি দলের ইন্ধনে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ওই দলটি অনেক ব্যাংক দখল করেছে। কোচিং সেন্টার দখল করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল করেছে। এসব নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই। এতেই বোঝা যায়, এরা কী চায়। বিএনপির মধ্যে অনেককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই দলটি যেমন ছদ্মবেশ ধরে ঘাপটি মেরে থাকে, তেমনি অপকর্মও করে ছদ্মবেশে।’
দলের নেতারা প্রকাশ্য আলোচনায় দায় না নিলেও তারেক রহমান একাধিক বক্তৃতায় বলেছেন, বিএনপি সব অভিযোগ নাকচের নীতিতে নেই। তিনি গত ২২ ফেব্রুয়ারি নেতাকর্মীর উদ্দেশে বলেন, ‘হতে পারে আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীর মধ্যে কেউ কেউ বিভ্রান্ত হয়ে এমন কাজ করছেন, যা নৈতিকভাবে সমর্থন করা সম্ভব নয়। তাই দল সেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। একজন নেতার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ যে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব, দল তাই নিয়েছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে অন্য দলের সরব হওয়ার বিষয়ে তারেক রহমান বলেছেন, ‘কিছুসংখ্যক ব্যক্তি, একে দলের দুর্বলতা হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। সব নেতাকর্মীকে বলছি, যারা এসব বলে অন্যকিছু হাসিলের চেষ্টা করেন, তাদের বলে দেবেন, বিএনপি অবস্থান পরিষ্কার করছে। দলের কেউ অন্যায় করলে, বিএনপি ব্যবস্থা নেয়। অন্য দলের সঙ্গে এটিই বিএনপির বড় পার্থক্য।’
তবে বিএনপির অভ্যন্তরেই অস্বস্তি রয়েছে একের পর এক চাঁদাবাজির অভিযোগে। ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হক মজুমদার শিমুল ২৩ ফেব্রুয়ারি নেতাকর্মীর উদ্দেশে ফেসবুকে লেখেন, ‘আপনি দীর্ঘদিন গণতন্ত্র ও দেশমুক্তির লড়াই করেছেন। কিন্তু এটা আপনাকে কখনোই দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নৈরাজ্যের বৈধতা দেয় না।’ দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কঠোরতার দাবি জানিয়ে তিনি বিএনপিকে যারা সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে অপরাধ করতে চায়, তাদের বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার কথা বলেন।’
সম্প্রতি বিএনপির নেতাকর্মী পর্যায়ের দুই নেতার চাঁদাবাজি কৌশল এবং বণ্টন নিয়ে বক্তব্য ছড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যতম আলোচনা চাঁদাবাজি। সংবাদমাদ্যমে এ-সংক্রান্ত খবরগুলোতে পাঠকরা চাঁদাবাজির হাজারো অভিযোগ করেছেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড পেজের কমেন্ট সেকশনে তাঁর অনুসারীদের অনেকে বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করছেন।
সংখ্যায় কম হলেও জামায়াতের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি, দখলের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের রুকন এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ফেনী পৌরসভা শাখার সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জাকির হোসেন মিয়াকে বহিষ্কার করা হয়।
জামায়াতের একাধিক নেতা সমকালকে বলেছেন, ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। চাঁদাবাজির অধিকাংশ অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে চাঁদাবাজি ইস্যুতে চাপে রাখার সুযোগ রয়েছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সমকালকে বলেছেন, বিএনপি নয়, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে। সুনির্দিষ্টভাবে চাঁদাবাজ এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জামায়াত বলছে, সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ। মাঠের দল হিসেবে জামায়াত জনগণের জন্য চাঁদাবাজমুক্ত দেশ চায়। এ কথাটিই নির্বাচনের মাঠে বলবে।
রাজনৈতিক দল গঠনে ‘আপনার চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক জনমত জরিপ চালায় অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা। অনলাইন এবং অফলাইনে তিন লাখের বেশি মানুষের মতামত নেওয়া হয়। জনমত জরিপের ১০টি প্রশ্নের দুটি হলো– আপনার মতে কোন তিনটি কাজ করলে দেশ বদলে যাবে এবং নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আপনার জীবনের কোন সমস্যার সমাধান চান?
জরিপের ফলাফল একীভূত করা জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা সমকালকে জানিয়েছেন, ৯০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা বলেছেন দেশ বদলে দিতে চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। নতুন দলের কাছে তারা এ সমস্যার সমাধান চেয়েছেন।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন সমকালকে বলেছেন, ‘চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ কষ্টে আছে। এনসিপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নামবে। দখল, সিন্ডিকেট, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া নতুন দলের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাবে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বলবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের চাঁদা দাবির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। সামান্তা শারমিন সমকালকে বলেছেন, ‘একটি ঘটনাতেও ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একই ধরনের কথা বলছেন বিএনপি নেতারা। তবে একাধিক নেতার দাবি, পরিস্থিতির কারণে অপকর্মের দায় নিতে হচ্ছে। তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান শূন্য হয়ে পড়ে। বাজার, ঘাটসহ বিভিন্ন সেবা বিএনপি নেতাকর্মীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে সচলে কাজ করছেন। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের দখল করা সম্পদ উদ্ধারে গিয়েও চাঁদাবাজ, দখলদার পরিচিতি পেতে হয়েছে। বিএনপিকে ঘায়েল করতে জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে। এনসিপি রাজনীতিতে জায়গা করতে বিএনপিবিরোধী প্রচার চালাচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপিতে শুধু চাঁদাবাজ নয়, কোনো অপরাধীরই স্থান নেই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখনই যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন, তখনই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু যেভাবে বিএনপিকে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তা দিয়ে কোনো কোনো মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। বিএনপির বিরুদ্ধে তারা নানা গুজব প্রচার করছে। এসবের অনেক ঘটনাই বানোয়াট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত কর ম র ব র দ ধ ত র ক রহম ন র ন ত কর ম ৫ আগস ট র ব যবস থ ব এনপ র ব এনপ ক অপকর ম কর ম ক কর ছ ন র জন ত এক ধ ক বল ছ ন আওয় ম দখল ক সরক র করছ ন এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-অস্ট্রেলিয়া: নকআউট পর্বে কার রেকর্ড কেমন?
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে মঙ্গলবার (০৪ মার্চ, ২০২৫) বিকেলে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এটা অবশ্য বলতে দ্বিধা নেই এই ম্যাচে আসল পরীক্ষা দিতে হবে ভারতকে। কারণ, আইসিসির ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতের চেয়ে অজিদের রেকর্ড অনেক ভালো। চলুন তাহলে সেসব রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স যেমন:
::২০০৪ আসর::
> ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেটে হার।
আরো পড়ুন:
বেড়েছে ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফি
মেজাজ হারালেন শান্ত, বড় হারে আবাহনীর শুরু
:: ২০০৬ আসর ::
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৩৪ রানে জয়ী।
> ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
:: ২০০৯ আসর ::
> পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জয়ী।
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে ভারতের পারফরম্যান্স যেমন:
:: ২০০০ সালের আসর ::
> অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়াার্টার ফাইনাল: ভারত ২০ রানে জয়ী।
> দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৯৫ রানে জয়ী।
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: ৪ উইকেটে হার।
:: ২০০২ আসর ::
> দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ১০ রানে জয়ী।
:: ২০১৩ আসর ::
> শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।
> ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: ভারত ৫ রানে জয়ী।
:: ২০১৭ আসর ::
> বাংলাদেশের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৯ উইকেটে জয়ী।
> পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল: ১৮০ রানে হার।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে এ পর্যন্ত ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪ বারের মুখোমুখিতে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩ বার, ভারত ১ বার। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এর আগে দল দুটি একবার মুখোমুখি হয়েছিল। সেখানে ভারত জিতেছিল। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তারা একবার মুখোমুখি হয়েছিল। সেখানে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল।
উপরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে এটা বলা যায় যে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ধুন্ধুমার একটি ম্যাচ মঙ্গলবার উপভোগ করতে যাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।