গভীর রাতে ডাকাতির পর যৌথবাহিনীর অভিযান, আটক ৫
Published: 3rd, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ডাকাতি করে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের তৎপরতায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য।
রোববার (২ মার্চ) ভোরে তেঁতুলিয়ার ভজনপুর বাজারে তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়ক এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। এর আগের দিন দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের আজিজনগর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- রংপুরের মিঠাপুকুর থানার হরিপুর গ্রামের প্রয়াত আ.
জানা গেছে, শনিবার দিনগত রাত ১টা ৫ মিনিটে তেঁতুলিয়ার ৩ নম্বর সদর ইউনিয়নের আজিজনগর গ্রামের বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় জাতীয় মহাসড়কের ১০০ গজ দক্ষিণে স্কুলশিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে প্রাচীর টপকে ডাকাত প্রবেশ করে। ডাকাতদলের সদস্যরা ঘরের দরজার ছিটকিনি ভেঙে রুমে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে। পরে তাদের হাত-পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখে। একপর্যায়ে আলমারির তালা খুলে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। রোববার ভোরে ভজনপুর বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস. এম. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পরেই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে অভিযান পরিচালনা করে ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। এছাড়াও সন্দেহজনক আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙন রোধে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করুন
নদীর এক কূল ভাঙে, আরেক কূল গড়ে। শত শত বছর ধরে এ ভূমির মানুষেরা নদীর খেয়ালিপনার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়েই জীবন যাপন করে এসেছেন। আজ যিনি আমির, দেখা যেত, নদীভাঙনে কালকেই তিনি নিঃস্ব হয়েছেন। আবার নতুন জেগে ওঠা চরে বসতি গড়ে নতুন করে জীবন গড়ার স্বপ্ন এঁকেছেন তাঁরা। নদী তাই আমাদের জীবনযাপন ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। গত কয়েক দশকে দখল ও দূষণে বাংলাদেশের অনেক নদী যেমন মরে গেছে, আবার মৃতপ্রায় হয়ে যেগুলো এখনো টিকে আছে, সেগুলোও স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে। এ কারণে বর্ষাকালে নদীগুলো যখন ফুলেফেঁপে ওঠে, তখন আমরা ভাঙনটাই বেশি দেখতে পাই। নতুন চর জাগা বা নতুন বসতি গড়ে ওঠার ঘটনা এখন বিরল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনের যে অভিঘাত, তাতে নদীভাঙনে প্রতিবছর অনেক মানুষ নিঃস্ব হচ্ছেন। সবকিছু হারিয়ে তাঁরা জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে ঢাকাসহ বড় নগরগুলোয় আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে এমনিতেই কয়েক গুণ বেশি জনসংখ্যার নগরগুলোয় আরও চাপ বাড়ছে। নগরমুখী এই জনস্রোত ঠেকাতে গেলে নদীভাঙন রোধের বিকল্প নেই। প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা নদীভাঙনের সঙ্গে টিকে থাকার জন্য রীতিমতো লড়াই করে চলেছেন।
অনেক বছর ধরেই কুশিয়ারা নদীতীরবর্তী এলাকাটি ভাঙছে। নদীভাঙনে বিপন্ন মানুষ নতুন ঠিকানার খোঁজ করেন। অন্য কোথাও গিয়ে ঘরবাড়ি তৈরির সামর্থ্য যাঁদের নেই, তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে ভাঙনের কাছাকাছি কোথাও মাথা গোঁজার চেষ্টা করছেন। নদীপারের কালারবাজার-নলুয়ারমুখা বাজারটিও ভাঙনের কবলে পড়েছে। একটা সময় মানুষের জীবন ছিল নিয়তিনির্ধারিত। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের এই যুগেও কেন মানুষ প্রকৃতির কাছে এতটা অসহায় থাকবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সিলেটের বালাগঞ্জের দিকে কুশিয়ারা নদীর বুকে একটা চর জেগে আছে। সেই চরে উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোত ধাক্কা খেয়ে রাজনগরের গ্রামগুলোয় আঘাত করছে। সে কারণে ভাঙনটা আরও তীব্র হচ্ছে। চরটি অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি।
পাউবো বলছে, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন ঠেকাতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করি, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন রোধে গড়িমসি না করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। টেকসই বাঁধ নির্মাণ এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে।