ঘোষণা ছাড়াই বৈকালিক চিকিৎসাসেবা বন্ধ
Published: 3rd, March 2025 GMT
সরকারি হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রায় দুই বছর আগে বৈকালিক সেবা চালু করে সরকার। তবে ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ এ সেবা বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে বিপদে পড়েছেন রোগীরা। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বৈকালিক সেবা চালু হলেও প্রচারের অভাবে সেবা নিতে আসে না মানুষ। এ ছাড়া জুলাই বিপ্লবের পর অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসকদের ঢাকায় আনা হয়েছে। ফলে চিকিৎসক সংকটের কারণে এমনিতেই সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন করে বৈকালিক সেবা চালু হচ্ছে না। তবে সারাদেশে রেফারেল পদ্ধতির মাধ্যমে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে দুই দফায় ১৮৩টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক সেবা চালু করে সরকার। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় রোগ নির্ণয়ের সুবিধাও যুক্ত করা হয়। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের পালাক্রমে রোগী দেখার কথা বলা হয়। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় নির্ধারিত ফি ধরা হয় ৫০০ টাকা। এ টাকার মধ্যে অধ্যাপক পাবেন ৪০০ টাকা, চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতাকারী ৫০ এবং সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা ধরা হয়। এভাবে সহযোগী অধ্যাপক পাবেন ৩০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ২০০ এবং এমবিবিএস বা বিডিএস ও সমমানের চিকিৎসকরা পাবেন ১৫০ টাকা। এক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতাকারীর জন্য ২৫ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে নানা সংকটে দুই বছর যেতে না যেতেই অধিকাংশ হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গেছে এ সেবা।
শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এ সেবা তথ্য সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ১৮৩টি হাসপাতালে এই সময়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ২৫২ জন সেবা নিয়েছেন। মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে সেবা পেয়েছেন ৯০ হাজার ২২৭ জন এবং কনসালট্যান্টের সেবা নিয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৮ জন। এদের চিকিৎসায় ১২ লাখ ২ হাজার ৯২৩টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অস্ত্রোপচার হয়েছে ৭ হাজার ৯৪৩টি। সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার ৭৮৩ জন সেবা নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বেশি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ৬৫ হাজার ৯৮৯ জনের ৪০ হাজার পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব সেবাগ্রহীতার চিকিৎসা পরামর্শ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার টাকার জমা পড়েছে। তবে অধিকাংশ চিকিৎসকের এখনও ভাতা দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে সেবা দিতে আগ্রহ হারিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বৈকালিক সেবা চালু হয়। তবে বর্তমানে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল ছাড়া বাকিগুলোয় এ সেবা বন্ধ। শুরুতে বৈকালিক সেবা (ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস) জনগণ ভালোভাবে নিয়েছিল। এ প্রক্রিয়া ফলপ্রসূ হয় এবং চাহিদা বাড়ে। তবে দিনে দিনে কার্যক্রমটি ঝিমিয়ে পড়ে।
গত শনিবার বিকেলে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সামনে দেখা মেলে মোল্লা ওমর ফারুক নামে এক রোগীর। তিনি হার্টের সমস্যা নিয়ে এ হাসপাতালে এসেছেন। তিনি বলেন, ভিড় এড়াতে বিকেলে সেবা নিতে আসা। তবে হাসপাতালে এসে জানতে পারি, বৈকালিক সেবা বন্ধ। পরে বেসরকারি হাসপাতালে চলে যেতে দেখা যায় তাঁকে। ওই সময় হাসপাতালটি থেকে পাঁচ রোগীকে এভাবে ফিরে যেতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক বলেন, সকালে যে সেবা রোগীরা বিনামূল্যে নিতে পারেন, সেই সেবা বিকেলে টাকা দিয়ে কেন নেবে? যেমন সকালে ১০ টাকায় সব সেবা পাওয়া যায়। আর বিকেলে শুধু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ৫০০ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া সকালে ওষুধ বিনামূল্যে থাকলেও বিকেলে টাকা দিয়ে কিনতে হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে হয় টাকা দিয়ে। এজন্য রোগীরাও আগ্রহী না। এ ছাড়া চিকিৎসকরা বিকেলে বেসরকারি চেম্বারে বসলে বেশি আয় করতে পারেন।
ঢাকার বাইরের অবস্থা আরও বেহাল
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রোগ নির্ণয়ে যন্ত্রপাতির সংকট। ফলে এসব হাসপাতালে বৈকালিক সেবার অবস্থা আরও বেহাল। প্রথম দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বৈকালিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সেই সময় দিনে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী সেবা নিতে এলেও গত জুলাইয়ের পর কমতে থাকে। গত মাসে এক পর্যায়ে রোগী শূন্যের কোঠায় চলে আসে। এখন সেবা বন্ধ রয়েছে। এই হাসপাতালে গত মঙ্গলবার দৈনিক বৈকালিক সেবা নিতে তিন থেকে চারজন রোগী আসেন। সেবা না পেয়ে তাদের ফিরে যেতে দেখা যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মফস্বলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা থাকতে চান না। চিকিৎসক না থাকায় বৈকালিক সেবা কার্যক্রম শুরুর পরই বন্ধ হয়ে যায়। তা ছাড়া সরকার পরিবর্তনের পর এ প্রকল্প নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও নিরুৎসাহিত করা হয়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী চিকিৎসকদের ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই চিকিৎসা ভাতা না পেয়ে এ সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরুর দিকে বৈকালিক সেবা চালু হলেও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। দুই থেকে আড়াই মাস পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে বৈকালিক সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন হলেও চিকিৎসক সংকটে তা চালু করা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি চেম্বারে বসলে চিকিৎসকরা যে সম্মান ও সম্মানী পান, তা সরকারি হাসপাতালে পান না। এ ছাড়া অনেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ভাতা দেওয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসকরা ইচ্ছা করে এ সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল সমকালকে বলেন, স্বল্পমূল্যে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বৈকালিক সেবা অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার এই সেবা ঘোষণা ছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হলো। আসলে স্বাস্থ্য খাতে কোনো অভিভাবক নেই। সাধারণ মানুষের সেবা দেওয়ার মানসিকতাও নেই সেবকদের। চিকিৎসকদের মানবসেবার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান বলেন, বৈকালিক সেবা নিয়ে মানুষের এখনও আগ্রহ রয়েছে। তবে প্রচারের অভাবে রোগীরা বৈকালিক সেবা নিতে যাচ্ছেন না। চিকিৎসকদের ভাতা না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভাতা বণ্টনে জটিলতার কারণে ছয় কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে দ্রুত চিকিৎসকদের ভাতা দেওয়া যাবে।
চিকিৎসা মিলবে রেফারেল পদ্ধতিতে
দেশে রেফারেল পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালুর পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এক চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে অন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিই হচ্ছে ‘রেফারেল’। রোগীর বিশেষায়িত সেবার প্রাপ্যতা নিশ্চিতে এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, বৈকালিক সেবা নতুন করে চালু করার পরিকল্পনা নেই সরকারের। সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ চলছে। রেফারেল পদ্ধতিতে সেবা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা নগরবাসীর দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারী মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য শতাধিক ‘জিপি-ক্লিনিক’ খোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসকদ র ভ ত চ ক ৎসকর চ ক ৎসক পর ক ষ র পর ক সরক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন প্রত্যাহার
এক সপ্তাহ ধরে চলা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকেরা। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কাউকে চিকিৎসকের স্বীকৃতি না দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। দাবির সঙ্গে সংহতি রেখে একই দিন থেকে ক্লাস বর্জনের কর্মসূচির ডাক দেন চমেকের শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আন্দোলন ও কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার দুপুরে ‘চমেক শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকবৃন্দ’ ব্যানারে ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ আহ্বান করা হয়। ওই সমাবেশ থেকে কর্মবিরতি ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন ইন্টার্ন চিকিৎসক আহমদ হাসনাইন ও শিক্ষার্থী মো. সাকিব হোসেন। এর আগে তাঁদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চমেক অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন ও উপাধ্যক্ষ আবদুর রব বক্তব্য দেন।
কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আজ, নাকি আগামীকাল রোববার সকালে কাজে যোগ দেবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সমাবেশের পর এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
সমাবেশে চমেক অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যতটা জানি, সরকারিভাবে বিষয়গুলো মীমাংসার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে ১২ মার্চ আদালতের একটি রায় আসার কথা রয়েছে। তোমরা অন্তত ১২ তারিখ পর্যন্ত কর্মবিরতিটা প্রত্যাহার করো। আর ছাত্ররা ক্লাসে যাও। এরপর কী রায় আসে, তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নাও। যদি সমাধান না হয়, তখন আমরাও এই আন্দোলনের সঙ্গে থাকব।’
হাসপাতালের পরিচালক মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, বিএমডিসির নিবন্ধন ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারেন না। চলমান সংকটের বিষয়ে মন্ত্রণালয় বিএমডিসিকে দায়িত্ব দিয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগসহ নানা বিষয়ে মন্ত্রণালয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক আহমদ হাসনাইন বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় ও স্যারদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। ১২ তারিখে রায় নিয়ে যেন ছিনিমিনি করা না হয়। যদি দাবি আদায় না হয়, তাহলে আবার আন্দোলন শুরু হবে।’
চমেকের শিক্ষার্থী মো. সাকিব হোসেন বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা ১২ তারিখ পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হলো। যদি আদালতের রায় পক্ষে না আসে এবং অন্য দাবিগুলো পূরণে যদি আন্তরিক না হয়, তাহলে আবার আন্দোলন শুরু হবে। আগামীকাল থেকে ক্লাসে ফিরবেন বলে জানান সাকিব।
চমেক হাসপাতালে প্রায় ১৮০ ইন্টার্ন চিকিৎসক পালা করে মূল চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। টানা কর্মসূচির কারণে হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল স্থায়ী চিকিৎসকদের। বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীরা এতে ভোগান্তির শিকার হন। ডাকাডাকি করেও চিকিৎসকদের দেখা মিলছিল না।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবেন না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে, যা বন্ধ করতে হবে।