জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের শুনানি আজ সোমবার ধার্য করা হয়েছে। গতকাল রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হোসাইন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। এতে ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ করা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর ওই মামলায় রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ে খালেদা জিয়াসহ তিন আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। অপর তিন আসামি হলেন– খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। পরে হারিছ চৌধুরী ছাড়া অন্যরা হাইকোর্টে আপিল করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই মামলায় গত ২৭ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ওই রায়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আপিল দায়ের করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বালুভর্তি বস্তার নিচে মিলল শিশুর লাশ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বালুভর্তি বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়া অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) সকালে কুমারখালী উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুরে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
নিহত মো. শিহাব (১০) চর ঘোষপুরের রতন শেখের ছেলে। বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর সে মা তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে সরকারি আবাসন প্রকল্প গুচ্ছগ্রামে থাকত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিহাব।
শিহাবের নানা আকাতুল্লাহ প্রামাণিক জানিয়েছেন, শিহাব প্রতিদিন গরু নিয়ে মাঠে যেত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরে। বিছানার নিচ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছে কি না, জানতে চাইলে শিহাব তা স্বীকার করে এবং জানায় যে, ২০০ টাকা খরচ করে ফেলেছে। পরে বাকি ৩০০ টাকা নিয়ে সে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি।
সোমবার বাড়ির অদূরে একটি মাঠে স্তূপ করে রাখা বালুর বস্তার নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শিহাবের মা তাসলিমা খাতুন জানান, পাশেই তার বাবার বাড়ি। বেশিরভাগ সময় সেখানেই থাকত শিহাব। সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তারা ভেবেছিলেন, ছেলেটি খালা কিংবা ফুপুর বাড়িতে গেছে। কিন্তু, এক দিন পার হয়ে গেলেও ফিরছিল না। সব জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তাসলিমা বলেন, “শিহাবের বাবা আমাদের ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অনেক কষ্টে ছেলেকে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে ছিলাম। স্থানীয় একটি ইটভাটায় রান্না করে দিয়ে যা পাই, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। এখন আমি কাকে নিয়ে থাকব।”
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক