সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে  মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কের চলাচলরত যাত্রীরা।

রোববার রাতে উলাইলের কর্নপাড়া এলাকায় অবস্থিত প্রতীক এ্যাপারেলস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত ১০টা পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে শিল্পপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান করছেন। 

বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ জানুয়ারি মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করেননি। কয়েক দফায় বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলেও কর্তৃপক্ষ বেতন দেয়নি। ফলে শ্রমিকরা বাসা ভাড়াসহ মুদি দোকানের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। রোজা শুরু হলেও শ্রমিকরা বাজার করতে না পারায় সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। তাই বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। 

সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সওগাতুল আলম বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রতীক নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ