ক্ষমতা গ্রহণের পর ৭৯টি নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের
Published: 3rd, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময়ের মধ্যে তিনি ৭৯টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এসব আদেশের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতি থেকে শুরু করে ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকারবিষয়ক নানা বিষয় রয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান পার্টির সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সরকার পুনর্গঠনের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ট্রাম্প বাণিজ্য, নাগরিক অধিকার ও ফেডারেল আমলাতন্ত্রকে লক্ষ্য করে তাঁর কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
নির্বাহী আদেশের তথ্য প্রকাশ করা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রেজিস্টার অনুসারে, ১৯৩৭ সালের পর থেকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এত দ্রুত এত নির্বাহী পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেননি।
অবশ্য নির্বাহী আদেশে সই করে তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখিও হয়েছেন ট্রাম্প। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল-এর জাস্ট সিকিউরিটির পর্যবেক্ষণ অনুসারে, ২৭ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত ট্রাম্পের ১৬টি আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে শুল্ক, জীবাশ্ম জ্বালানিতে সহায়তা, সার্বভৌম তহবিল গঠন ও অর্থনীতি। এখন পর্যন্ত এ–সম্পর্কিত ২৭টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। এর মধ্যে ১২টি বিষয় বাণিজ্য ও শুল্কসম্পর্কিত, যেমন কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্কের হুমকি এবং চীনা পণ্যে আপাতত ১০ শতাংশ শুল্ক। বৈচিত্র্য ও লিঙ্গ, ট্রান্সজেন্ডার, কর্মক্ষেত্রে বর্ণবাদ, লিঙ্গবৈষম্যের
মতো কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাসম্পর্কিত ১৪টি আদেশে সই করেছেন তিনি। ট্রাম্পের আরেকটি অগ্রাধিকার অভিবাসন বিষয়ে ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। ট্রাম্পের ছয়টি নির্বাহী আদেশে ইলন মাস্কের অধীন তথাকথিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সিকে (ডিওজিই) কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ট্রাম্প স্বাস্থ্যবিষয়ক ১৩টি এবং প্রযুক্তিবিষয়ক ১০টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।
দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি
যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে অনুমোদন দিয়েছেন ট্রাম্প। গত শনিবার ট্রাম্প এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেখানে ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও যেসব প্রতিষ্ঠান ফেডারেল অর্থায়ন পায়, তাদের নথিপত্র ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইংরেজি ব্যবহার করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আটা-ময়দা, এলপি গ্যাসসহ কিছু পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার
বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ তালিকায় থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে আছে বিস্কুট, লবণ, সরিষার তেল, আটা, ময়দা, এলপি গ্যাস ইত্যাদি। কিছু পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে এবং কিছু পণ্যে ব্যবসায়ী পর্যায়ে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এনবিআর এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষা তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা নেই।
এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল–জাতীয় খাদ্যশস্য।
শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করে- এমন প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা পাবে না।
এসব পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পেতে কিছু বিধিবিধান মানতে হবে। যেমন ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ইত্যাদি করতে হবে।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বসায় এনবিআর। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রায় এক ডজন পণ্যের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি ও ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংস্থাটি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিস্কুট ও কেকে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিস্কুটের ওপর থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কমায় এনবিআর।