সারাদেশের ২০টি মেডিকেল কলেজের ২৬টি দলের অংশগ্রহণে শেষ হলো ‘১ম এসবিএমসিডিএফ জাতীয় আন্তঃমেডিকেল বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫’, যা আয়োজন করেছে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ফোরাম (এসবিএমসিডিএফ)। প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে ৭ ও ১০ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে তিনটি প্রাথমিক রাউন্ড ও কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের নাসিমুজ্জামান মেহেদী অডিটোরিয়াম এ আয়োজিত হয় সেমিফাইনাল, ফাইনাল এবং জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রতিযোগিতা আরও বর্ণিল হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.

শফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ এবং ডিবেটিং ফোরামের মডারেটর ডা. মো. রেফায়েতুল হায়দার, শেবাচিম শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. কামরুদ্দোজা হাফিজুল্লাহ, মডারেটর ডা. অহিদা সুলতানা, মডারেটর ডা. এফ আর খান, অধ্যাপক ডা. হানিফ হাওলাদার, ডা. চন্দনা সরকার, ডা. আ.ন.ম. মঈনুল ইসলাম, ডা. আবিদা সুলতানা প্রমুখ। প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনালে উঠে আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দলগুলো। চূড়ান্ত পর্বে ‘এই সংসদ একজন নবীন ডাক্তার হিসেবে বাংলাদেশে প্র্যাকটিস করবেন না’ প্রস্তাবনার পক্ষে ও বিপক্ষে নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং রানার্স-আপ হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। প্রতিযোগিতার সেরা বিতার্কিক হিসেবে স্বীকৃতি পান তাসদিদ ইসলাম তুরাব, ফারহান ফুয়াদ চৌধুরী ও মিসবাহ উজ জামাল। একই দিনে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা ও বারোয়ারি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়, যা পুরো আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের চিকিৎসকদের মধ্যে যুক্তিবোধ, বিশ্লেষণী দক্ষতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ বিকাশের এক অনন্য মঞ্চ তৈরি হলো। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ফোরাম ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের মাধ্যমে বিতর্কচর্চাকে আরও এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ র ফ ইন ল অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ