Samakal:
2025-04-28@11:44:17 GMT

পথেই যখন উড়বে-নামবে গাড়ি!

Published: 2nd, March 2025 GMT

পথেই যখন উড়বে-নামবে গাড়ি!

সুনসান পথ। কালো রঙের বিচিত্র গাড়ি ওই পথে চলতে হুট করেই ‘টেক অফ’ করল শূন্যে। কী, অবাক হয়েছেন! সেটাই তো স্বাভাবিক। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে টপকে আবারও ‘ল্যান্ড’ করল সেই পথে। ভিডিওচিত্রে দেখা এমন দৃশ্য নিছক কোনো কল্পিত ঘটনা নয়, বরং নিকট বাস্তবচিত্র।
গাড়ির এমন দুরন্তপনা দেখে সামনে আসতে পারে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটসের উড়ন্ত গাড়ির দৃশ্যপট। বইয়ের পাতায় ফোর্ড অ্যাংলিয়া দেখানো হলেও বাস্তবে এমন বর্ণনা প্রমাণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলেফ অ্যারোনটিকস। ইতোমধ্যে প্রথম এমন গাড়ি ওড়ানোর পরীক্ষায় ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সংস্থার প্রোটোটাইপ সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।
আলেফের ব্যাটারি পরিচালিত প্রোটোটাইপের নাম আলেফ মডেল ‘জিরো আলট্রালাইট’। গাড়িটি রাস্তায় যেভাবে চলবে, ঠিক সেভাবেই প্রয়োজনে বনেট আর বুটের মধ্যে প্রপেলার সহায়তায় প্রয়োজনে যে কোনো সময়ে উড়তে পারবে ইচ্ছামতো। গাড়িটি ওড়াতে প্রয়োজন পড়বে না রানওয়ে।
দাঁড়িয়ে থেকেই প্রয়োজনে যে কোনো জায়গা থেকে শূন্যে উড়তে পারবে। ওড়ানোর পরীক্ষার বাস্তব ভিডিওচিত্র ধারণ করে এমন সাফল্যকে রাইট ব্রাদার্সের প্রথম বিমান ওড়ানোর সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করেন আলেফ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিম দুখভনি।
অবশ্য কোনো রকম সম্ভাব্য দুর্ঘটনা না ঘটাতে রাস্তাঘাট জনশূন্য করে পরীক্ষা করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার সব দিক নিশ্চিত করেই পরীক্ষা সফল হয়েছে।
২০২৬ সালে প্রাথমিকভাবে দু’জন যাত্রী বসতে পারে এমন আলেফ ‘মডেল এ’ আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্মাতারা। পূর্ণ চার্জে গাড়িটি ২০০ মাইল পথে আর ১১০ মাইল উড়তে সক্ষম বলে জানা গেছে।
উদ্যোক্তারা জানান, বিশেষ মডেলের গাড়িতে থাকবে ‘অটোপাইলট’ সুবিধা। গাড়িটির সম্ভাব্য দাম হতে পারে তিন লাখ ডলার। এরই মধ্যে গাড়িটি পেতে প্রিবুকিং করেছেন তিন হাজারের বেশি আগ্রহী। নির্মাতা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে আলেফ মডেল ‘জেড’ সেডান গাড়ি বাজারে আনবে। সম্ভাব্য ওই গাড়ির মডেলে চারজন বসতে পারবেন। পূর্ণ চার্জে গাড়িটি পথে চলবে ৪০০ মাইল আর উড়বে ২০০ মাইল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

ঢাকার সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় দুর্ঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি জব্দ করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় নাবিল পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের সাথে ধাক্কা লাগলে বাসটির হেলপারের মৃত্যু হয়। 

অন্যদিকে গতকাল গভীর রাতে একই মহাসড়কের ব্যাংকটাউন এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়।

প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহতরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার ধিরেনের ছেলে হৃদয় চন্দ্র দাশ (২০) ও একই এলাকার অর্চণা রানী (৩০)। অপরজন হলেন নাবিল পরিবহনের হেলপার আনোয়ারুল ইসলাম (২৬)। এ ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে নওগাঁ থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে নাবিল পরিবহনের একটি বাস। বাসটি সাভারের গেন্ডা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপরে ওঠে। এসময় হেলপার আনোয়ারুল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বাসটি জব্দ করা হয়। 

এছাড়া গতকাল রাতে হৃদয় ও অর্চণা সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির প্রাইভেটকার তাদের চাপা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই তারা মারা যায়। এঘটনায় চালক পালিয়ে গেলেও প্রাইভেটকারটি জব্দ করেছে পুলিশ।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, “রাতে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার চাপায় নারীসহ দুইজন ও সকালে নাবিল পরিবহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর তুলে দিলে হেলপার মারা যান। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহন দুটি জব্দ করে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/সাব্বির/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ