ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজে স্কিল কম্পিটিশন ‘একটাই লক্ষ্য হতে হবে দক্ষ’– এই প্রতিপাদ্যে গত বৃহস্পতিবার কারিগরি শিক্ষাঙ্গনে স্কিলস কম্পিটিশন চট্টগ্রামের ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজে অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় কম্পিটিশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শোয়াইব আহম্মদ খান। তিনি কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে এবং দেশের কারিগরি শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ ও হাতেকলমে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটাক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মোবিন, বিটাক চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী  ফারহানা আকতার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত চট্টগ্রাম ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব দস্তগীর। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আর্কিটেকচার বিভাগীয় প্রধান আকবর আলী।
এতে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবিএম আব্দুল ওয়াহেদ। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আ ন ম সানাউল্লাহ, শিক্ষক কাজী আসরাফ, মোহাম্মদ জুনাইদ। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ

পঞ্চগড়ে পরীক্ষার দিন বাদে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষা এবং কোচিং বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। 

সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। এই সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুল ছুটি নিয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে সেইসব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয় নিজস্ব সিদ্ধান্তে। প্রায় দেড় থেকে দুই মাস ক্লাস বন্ধ থাকার কারণে এই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে। লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়। এসব দিক বিবেচনা করে যেসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেসব স্কুল ও কলেজে পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রাখার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শুধু পরীক্ষার দিন বন্ধ রেখে বাকি দিনে নিয়মিত ক্লাস নেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ক্লাস শুরুও করেছে। দেশের মধ্যে প্রথম পঞ্চগড় জেলায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে রাজশাহী পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

শুধু স্কুল ছুটি এবং ছুটির পর শিক্ষার্থীদের আগ্রহের ভিত্তিতে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কোচিং পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় কোচিং নিয়ে সরকারি নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই নীতিমালা অনুসরণ করে কোচিং পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতিমালার বাইরে কোচিং বাণিজ্য করলে ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় শিক্ষা ও আইসিটি বিষয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/নাঈম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ