‘সংগীত মানবজীবনকে সমৃদ্ধ করে, আত্মবিশ্বাস ও শক্তি জোগায়। সুরের ভেলায় ভাসে মানবতা, সংগীতের মাধ্যমে জীবনের অর্থ খুঁজে পায় মানুষ। সংগীতের সুরে ইতিহাস বেঁচে থাকে। গান ও সুর জীবনকে আনন্দময় করে তোলে। সংগীতের শক্তি জাতির ঐক্যের অনুপ্রেরণা।’
সম্প্রতি বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের প্রায় ৩০০ জন ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে সমাপনী দিনে সংগীতানুষ্ঠান হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা। তিনি বলেন, ‘শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা হিসেবে সংগীতের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি ভবিষ্যতে তাদের জীবনে সাফল্য আনতে সাহায্য করবে। সংগীতের মাধ্যমে দেশপ্রেম, সংস্কৃতি এবং মানবতা ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছানো সম্ভব।’ বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইজাহারুল আহম্মেদ শিহাব, সহকারী কমিশনার সুব্রত হালদার, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সুবীর কান্তি দাশ।
বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের সভাপতি লায়ন কৈলাশ বিহারী সেনের সভাপতিত্বে গৌতম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের অধ্যক্ষ রিষু তালুকদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যীশু সেন। আরও বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী রিমন সাহা, প্রিয়তোষ নাথ, রূপক ভট্টাচার্য, শিক্ষক পলাশ দে, ব্যাংকার উৎপল চক্রবর্তী, ডা.
অনুষ্ঠানে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন কিবোর্ডে নিখিলেশ বড়ুয়া, বাঁশিতে প্রাণেশ ভট্টাচার্য, অক্টোপ্যাডে অনুজিত বড়ুয়া লিমন, বেস গিটারে তন্ময় বড়ুয়া, তবলায় রূপক ভট্টাচার্য, পলাশ দে ও সৌমেন দাশ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব গ শ বর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন মাহি
গেল কয়েক বছরে অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন সামিরা খান মাহি। সম্প্রতি একাধিকবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন তিনি। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে একাধিকবার। বৃহস্পতিবার হঠাৎ মাহি জানান, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে তার। এরপর থেকেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রেম নিয়ে আবারও মুখ খুললেন মাহি। জানালেন সম্পর্ক ভাঙেনি।
সামিরা খান মাহি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার আর সাদাত সাফি নাবিলের সম্পর্ক ঠিক আছে। সব সম্পর্কেই ঝামেলা হয়, সেগুলো আবার ঠিকও হয়ে যায়। আমি কিন্তু কোথাও বলিনি, আমাদের ব্রেকআপ হয়ে গেছে। চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম শুধু যে, বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এটাকেই মানুষ ভিন্নভাবে নিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ইন্সটাগ্রামে মাহি লেখেন, ‘গত কয়েকটা দিন ভীষণ কষ্টের কেটেছে। ট্রলড হওয়ার কষ্ট, বোনের বিয়ের দায়িত্বের চাপ, আর নিজের সম্পর্কের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে ভিতরটা একেবারে খালি খালি লাগছে। সত্যি বলতে, খুব ক্লান্ত, খুবই এলোমেলো লাগছে নিজেকে। আমি ভুল করেছি, যা অনেককেই কষ্ট দিয়েছে, এটাও আমি বহন করে গেছি। আমি জানি আমি হৃদয় ভেঙেছি, এর জন্য আমি দুঃখিত। সত্যিই আমি ভেঙে পড়েছি- আর এটা বলতে ভয় পাই না আমি।’
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে চোখের জলের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার এই দুর্বলতম সময়েও আমি জানি, উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমি এখন শুধুই ক্লান্ত, তবে পরাজিত নই। যদি সবার সঙ্গে হাসি শেয়ার করা যায়, তাহলে আমি বলবো চোখের জলও শেয়ার করা যায়। জীবন খুব ভালো করেই দেখেছেন অভিনেত্রী। হয়তো সে কারণেই লিখেছেন, জীবন সবসময় সাজানো-গোছানো আর নিখুঁত হয় না।’