ছাত্র–জনতার সফল অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিপ্লবোত্তর’ অনেক কিছু হবে বলে কল্পকাহিনি প্রচার করা হয়েছিল, তার এক ভাগও হয়নি। যতটুকু হয়েছে, সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যেটা জামায়াত সমর্থন করে না।

আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে এক ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ঢাকা-১৫ আসনের ওলামায়ে কেরাম ও এতিমদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নানা ধর্মের মানুষের বসবাস রয়েছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। মানুষ হিসেবে সবার কল্যাণে কাজ করা নিজেদের কর্তব্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, দেশে দ্বীনের শিক্ষা যত সম্প্রসারিত হবে, সমাজ তত আলোকিত হয়ে উঠবে। দ্বীনের শিক্ষা সংকুচিত হলে অন্ধকার নেমে আসবে, যার প্রমাণ হচ্ছে পতিত আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসন। সে সময় আলেম-ওলামাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাঁদের হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে ছিল ডান্ডাবেড়ি। অথচ চোর, ডাকাত, অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা গোটা দেশ নির্বিঘ্নে দাপিয়ে বেড়িয়েছে।

ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম। মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র রহম ন র আম র

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: তথ্য উপদেষ্টা 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেবে।

বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।

নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন দুটি টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরেই  নির্বাচন হয়ে যাবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে, কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিবে কি, দিবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ