‘বিপ্লবোত্তর’ অনেক কিছু হবে বলে কল্পকাহিনি প্রচার করা হয়েছিল
Published: 2nd, March 2025 GMT
ছাত্র–জনতার সফল অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিপ্লবোত্তর’ অনেক কিছু হবে বলে কল্পকাহিনি প্রচার করা হয়েছিল, তার এক ভাগও হয়নি। যতটুকু হয়েছে, সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যেটা জামায়াত সমর্থন করে না।
আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে এক ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ঢাকা-১৫ আসনের ওলামায়ে কেরাম ও এতিমদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নানা ধর্মের মানুষের বসবাস রয়েছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। মানুষ হিসেবে সবার কল্যাণে কাজ করা নিজেদের কর্তব্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জামায়াতের আমির বলেন, দেশে দ্বীনের শিক্ষা যত সম্প্রসারিত হবে, সমাজ তত আলোকিত হয়ে উঠবে। দ্বীনের শিক্ষা সংকুচিত হলে অন্ধকার নেমে আসবে, যার প্রমাণ হচ্ছে পতিত আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসন। সে সময় আলেম-ওলামাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাঁদের হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে ছিল ডান্ডাবেড়ি। অথচ চোর, ডাকাত, অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা গোটা দেশ নির্বিঘ্নে দাপিয়ে বেড়িয়েছে।
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম। মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রশাসন আগের মতো দলবাজি শুরু করছে: নুরুল হক
প্রশাসন আগের মতো দলবাজি শুরু করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। প্রশাসন নিয়ে তিনি বলেছেন, দু–একটি দলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তাদের কাজ চালাতে চাচ্ছে। যারা দলবাজি করবে, তাদের পরিণতি বেনজীর–হারুনের মতো হবে।
জুলাই আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক এসব কথা বলেন। শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
গণ–অভ্যুত্থানের আট মাসেও গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন নুরুল হক। গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ও আধিপত্য কায়েমে ব্যস্ত হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, এসব কারণে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা রাজপথে নেমে হুংকার দিচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের পর দলগুলো নিজেদের সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে কারণেই অভ্যুত্থানের আট মাস পার হলেও তাদের বিচার করা সম্ভব হয়নি।
ফ্যাসিবাদ নির্মূলে শুক্রবার থেকে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিরোধ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তিনি বলেন, গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিয়েও রাজনীতি চলছে, যা মোটেও কাম্য নয়।
সড়ক-পরিবহন, কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনো চাঁদাবাজি-দখলবাজি চলছে বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের রাজনৈতিক নেতারা আশ্রয়–প্রশয় দিচ্ছেন। জনগণ এগুলো পছন্দ করছে না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি রকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া প্রমুখ।