‘তামিম ইকবাল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব কিনেছেন’ -এমন সংবাদে কদিন আগে সয়লাব ছিল সংবাদমাধ্যম। ক্লাব কেনার প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলেছেন খোদ তামিম ইকবাল। কেনার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন তিনি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

সোমবার (০৩ মার্চ, ২০২৫) থেকে শুরু হতে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তামিম খেলবেন ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে। শুধু তাই নয়, সাদা-কালো ক্লাবটির নেতৃত্বেও থাকছেন দেশসেরা এই ওপেনার। খেলবেন এক ক্লাবে আবার সংশ্লিষ্ট আরেকটির সঙ্গে! এমন হলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে।

রোববার শের-ই-বাংলায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলে তামিম এই প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। তামিম বলেন, “আমি যদি ওদের বিপক্ষে দ্রুত আউট হয়ে যাই তাহলে কি বলবেন ইচ্ছা করে আউট হয়েছি! আমি দলের সঙ্গে আছি। দলটি আমার না কিন্তু, এটা আপনারা (সংবাদ মাধ্যম) করেছেন। আমি শুধু স্পন্সর এনে দিয়েছি। তাই স্বার্থের দ্বন্দ্বের কোন কারণই নেই।”

আরো পড়ুন:

তামিমের সহায়তায় অবশেষে দল পেলেন লিটন

প্রিমিয়ার লিগে মোস্তাফিজের অনাগ্রহ কেন? 

দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লাবগুলো ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক কাটছাট করেছেন কিছুটা। তামিম বিষয়গুলোকে নেতিবাচকভাবে না চিন্তা করতে বলেছেন, “এই জিনিসগুলো সবসময় নেতিবাচকভাবে চিন্তা না করে এভাবে চিন্তা করেন যে এখন যদি আমাদের মতো স্পন্সররা একটা দলকে স্পন্সর না করে তাহলে ১৫-২০ জন ক্রিকেটার দল পাবে না। এভাবেও একটু চিন্তা করেন।”

“সবসময় নেগেটিভ জিনিস বের করার চেয়ে একটু পজিটিভ দিকটাও চিন্তা করেন। ধরেন আমি একটা দলকে যদি স্পন্সর না করতাম তাহলে আজকে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক এমনিতেই অর্ধেক হয়ে গেছে। আমার কথা উদাহরণ দিচ্ছি, ধরেন আমার সঙ্গে যারা আছেন তারা যদি এগিয়ে না আসতেন তাহলে খেলাটা হবে না। তাই সবসময় নেতিবাচক দিক না খুঁজে একটু ইতিবাচক দিকও দেখবেন” -আরও যোগ করেন তামিম।

মিরপুর ও বিকেএসপিতে তিন ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল থেকে মাঠে গড়াবে ডিপিএল। মিরপুরে আবাহনী লিমিটেডের প্রতিপক্ষি অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আর বিকেএসপিতে লড়বে মোহামেডান-গুলশান এবং প্রাইম ব্যাংক-রূপগঞ্জ।

সূচি নিয়েও কথা বলেছেন তামিম, “এখানে কিন্তু যেকোনো সময় একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ, গরমের মধ্যে আবার রোজার মধ্যে খেলা হয়। এর সঙ্গে সব জার্নি। আমি জানি এটা কঠিন, এমন না সিসিডিএম এটা ইচ্ছে করে করে। ওদেরও অনেক ডিফিকাল্টিস আছে না করার। তারপরও আমার তরফ থেকে আমি রিকোয়েস্ট করতে পারি যে যদি এরকম কোনো উইন্ডো খুঁজে বের করতে পারে তাহলে সবার জন্য ভালো হয়।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্রোতে ভেসে যাওয়া সেতুটি মেরামত হয়নি আজও

নির্মাণের ৯ মাসের মাথায় বন্যার স্রোতে ভেসে যায় সুন্দরগঞ্জের বেলকা বাজার খেয়াঘাটের ওপর সেতুটি। এরপর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও সেতুটি মেরামত বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিবির অর্থায়নে কংক্রিটের খুঁটির ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। ঠিকাদার শাহানুর ইসলামের পক্ষে সেতু নির্মাণে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বামনডাঙ্গার সাগীর খান। সেতুটির নকশা করেন উপজেলা প্রকৌশলী। গত বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ দেখিয়ে ঠিকাদার টাকা ছাড় করিয়ে নেন। ৯ মাস পর গত বছর অক্টোবরে তিস্তায় ভেসে যায় সেতুটির কিছু অংশ। সে সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেতু মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক জানান, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার এখন কী হবে? এ দায় কার? এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

বেলকা চরের শিক্ষার্থী ছানা মিয়া আক্ষেপ করে বলে, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় চরের শিক্ষার্থীরা খুশি হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধন না হতেই ভেসে গেল তিস্তার স্রোতে। এখন আবার সেই নৌকায় চলতে হবে।

হরিপুর চরের স্কুলশিক্ষক আবদুল জলিল মিয়া বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সেই সময়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে সেতুটির এই অবস্থা হয়েছে। এর জন্য এখন জনগণকে খেসারত দিতে হবে। তিনি দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেলকা খেয়াঘাটের তিস্তার শাখা নদীর ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা এলজিইডির নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস জানান, তিনি সবেমাত্র যোগদান করেছেন। এ ঘটনা তাঁর জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ