‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ কী, তা বোঝেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ‘এখন নতুন দল এসেছে, আপনারা সাবধান থাকবেন। আমি কিন্তু তাদের স্লোগান বুঝি না। আমি কিন্তু বুঝি নাই কাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে। আমি এখনো বুঝি নাই সেকেন্ড রিপাবলিক কী। কী বোঝায়, আপনারা বুঝেছেন কি না, জানি না? অর্থাৎ একটা অছিলা ধরে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। দয়া করে খেয়াল রাখবেন।’

আজ রোববার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে আলেম-ওলামা ও এতিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক ইফতার মাহফিলে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) লক্ষ্য দেশে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা করা। গত শুক্রবার নতুন এ দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এমনটাই জানান দলটির আহ্বায়ক মো.

নাহিদ ইসলাম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, একশ্রেণির লোক দেশের বাইরে থেকে এবং ভেতরে থেকে বিএনপির সঙ্গে আলেম–ওলামাদের একটি দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছেন। এই বিভেদ কিন্তু বিএনপির সঙ্গে ওলামা–মাশায়েখদের নয়। এই বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে ফাটল তৈরি হবে এবং ওই ফাটল দিয়ে বিদেশি শক্তি প্রবেশ করবে, দেশটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে।

আরও পড়ুন‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বলতে কী বোঝাতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি০১ মার্চ ২০২৫

এ সময় কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আর আপনাদের মতো এ রকমই পোশাক পরা একশ্রেণি ওদেরকে বাতাস দিয়ে যাচ্ছে। দয়া করে আপনারা ওদেরকে একটু সামাল দেবেন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক ন ড র প বল ক ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: তথ্য উপদেষ্টা 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেবে।

বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।

নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন দুটি টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরেই  নির্বাচন হয়ে যাবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে, কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিবে কি, দিবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ