রামদা ঠেকিয়ে ছিনতাই, পিছু নিয়ে ধরলেন ভুক্তভোগী নারী
Published: 2nd, March 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া কানড়া ঈশা খাঁ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে দিনদুপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক নারী যাত্রী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তবে ওই নারী ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাদের ধরে ফেলেন।
পরে স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে।
ভুক্তভোগী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, সকালে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে উপজেলার শহীদনগরে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে অটোরিকশাটি মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া কানড়া ঈশা খাঁ ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে আরেকটি অটোরিকশা তাঁকে বহনকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে। ছিনতাইকারীরা রামদা ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ও মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। মুঠোফোনের বিকাশ নম্বরে আরও টাকা ছিল। সেই টাকার জন্য সাহস করে তাৎক্ষণিক ছিনতাইকারীদের পেছন নেন ইয়াছমিন। একপর্যায়ে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের কাছে দুই ছিনতাইকারীকে দেখতে পেয়ে ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার দেন ইয়াছমিন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুজনকে ধরে পিটুনি দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কয়েকজন। খবর পেয়ে সেখান থেকে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ।
ইয়াছমিন আক্তার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী। আটক দুই ছিনতাইকারী হলেন- দাউদকান্দি পৌর সদরের তুজারভাঙ্গা গ্রামের হোসেন মিয়া (২৯) ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বেড়াতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (১৯)।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, আটক দুই ছিনতাইকারীর পুরো শরীরে পিটুনির চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাতপাড়া গ্রামটি ছিনতাইকারীদের আস্তানা। বিভিন্ন স্থানের খুন–হত্যা মামলার আসামিরা এ গ্রামে স্থায়ীভাবে ভাড়া থাকেন অথবা বিয়ে করে বসবাস করেন।
দাউদকান্দি মডেল ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক দ উদক ন দ উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
গণহত্যা মামলা: হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তের খসড়া রিপোর্ট প্রসিকিউশনে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তের খসড়া প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এই বিষয়ে সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “একাধিকবার অপরাধ প্রমাণের তথ্য-উপাত্ত মিলেছে খসড়া তদন্ত রিপোর্টে। পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। চূড়ান্ত তালিকা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে খসড়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
হাসিনা-রেহানা-জয়-পুতুলসহ ২০১ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন
গত ২৭ মার্চ চিফ প্রসিকিউটর বলেছিলেন, ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়া প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে গণহত্যা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের নামে ওই বছরের ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঢাকা/মামুন/রাসেল