ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া কানড়া ঈশা খাঁ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে দিনদুপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক নারী যাত্রী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তবে ওই নারী ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাদের ধরে ফেলেন।

পরে স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে। 

ভুক্তভোগী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, সকালে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে উপজেলার শহীদনগরে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে অটোরিকশাটি মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া কানড়া ঈশা খাঁ ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে আরেকটি অটোরিকশা তাঁকে বহনকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে। ছিনতাইকারীরা রামদা ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ও মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। মুঠোফোনের বিকাশ নম্বরে আরও টাকা ছিল। সেই টাকার জন্য সাহস করে তাৎক্ষণিক ছিনতাইকারীদের পেছন নেন ইয়াছমিন। একপর্যায়ে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের কাছে দুই ছিনতাইকারীকে দেখতে পেয়ে ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার দেন ইয়াছমিন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুজনকে ধরে পিটুনি দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কয়েকজন। খবর পেয়ে সেখান থেকে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। 

ইয়াছমিন আক্তার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী। আটক দুই ছিনতাইকারী হলেন- দাউদকান্দি পৌর সদরের তুজারভাঙ্গা গ্রামের হোসেন মিয়া (২৯) ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বেড়াতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (১৯)। 

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, আটক দুই ছিনতাইকারীর পুরো শরীরে পিটুনির চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাতপাড়া গ্রামটি ছিনতাইকারীদের আস্তানা। বিভিন্ন স্থানের খুন–হত্যা মামলার আসামিরা এ গ্রামে স্থায়ীভাবে ভাড়া থাকেন অথবা বিয়ে করে বসবাস করেন। 

দাউদকান্দি মডেল ওসি মো.

জুনায়েত চৌধুরী বলেন, স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগিতায় দুই ছিনতাইকারীকে বিকেল ৪টায় আটক করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক দ উদক ন দ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ