সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে দারিদ্র্য কমাতে হবে: আব্দুর রব ইউসুফী
Published: 2nd, March 2025 GMT
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুর রব ইউসুফী বলেছেন, সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারণে আয়নাঘরে অন্তরিণ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের মহোৎসব করেছে আওয়ামী লীগ। এখন সময় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে দারিদ্র্য কমিয়ে আনার।
আজ রোববার পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) গণ–ইফতার কার্যক্রম শুরু করেছে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। রাজধানীর বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়–সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে এ আয়োজন হয়।
আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, এবি পার্টি এখন যেমন গণ–ইফতার কার্যক্রম করছে, রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে আরও জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই আয়োজনে এবি পার্টির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইবি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবি
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সেন্টার ফর পিচ অ্যান্ড রিসার্চ (সিপিআর)। এতে কমিশনের প্রতিবেদন কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে তা বাতিল, নতুন সংস্কার কমিশনের গঠনের দাবি জানায় সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২২এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় আইন অনুষদের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ছ ম তরীকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান।
আরো পড়ুন:
বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা
ছাত্রশিবিরের শিক্ষাবৃত্তি পেলেন ইবির অর্ধশত শিক্ষার্থী
এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি, অধ্যাপক ড. ময়নুল হক, আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু বকর মো. জাকারিয়া, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সিনা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নারী অধিকার সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেখানে অত্যন্ত আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান, বিশেষ করে ইসলামি উত্তরাধিকার আইন ও ইসলামি পারিবারিক আইনকে নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের বিতর্কিত, ইসলামবিদ্বেষী, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী, কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক, ন্যাক্কারজনক কটাক্ষপূর্ণ প্রস্তাব দেওয়ার কারণে এই কমিশন বাতিলের দাবি করছি।
তারা আরো বলেন, যারা সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না, যাদের কেউ চেনে না, তারা এ কমিশনে কাজ করেছে। কমিশনে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কাউকে রাখা হয়নি। এ কমিশনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এ অঞ্চলের ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক বাস্তবতা সম্পর্কে অজ্ঞ। তারা নারীর অধিকারের কথা বলে পাশ্চাত্যের প্রেসক্রিপশন এ দেশে বাস্তবায়ন করতে চায়।
বক্তাদের দাবি, স্পষ্টতই এ প্রতিবেদনে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব লক্ষ্যণীয়। আমাদের এখন থেকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। কোনোভাবেই পাশ্চাত্যের চেপে দেওয়া কোনো আদর্শকে প্রতিষ্ঠা হতে দেওয়া যাবে না।
বেসরকারি সংস্থা ‘নারীপক্ষ’ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে গত ১৮ নভেম্বর নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কমিটি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪৩৩টি সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিশন মোটা দাগে সংবিধান, আইন ও নারীর অধিকার— এই তিন বিষয়ে সুপারিশ করেছে। সেখানে সমতা ও সুরক্ষার ভিত্তি জোরালো করার কথা বলা হয়েছে। সুপারিশগুলো অন্যতম হলো- অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০ সংশোধন করে সন্তানের ওপর নারীর জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা। সংসদীয় আসন বাড়িয়ে ৬০০ করে সেখানে ৩০০ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রেখে সরাসরি নির্বাচন। শ্রম আইন সংশোধন করে যৌনকর্মীদের মর্যাদা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী