নারী-পুরুষ সবাইকে প্রকাশ্যে ধূমপান না করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইন পরিদর্শন শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ অনুরোধ করেন তিনি। 

লালমাটিয়ায় দুই নারীর ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি তারা সিগারেট খাচ্ছিলেন। কিছু লোক সেখান দিয়ে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। পাবলিক প্লেসে ধূমপান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য অপরাধ। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, কেউ যেন উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান না করেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোজার সময় সবাইকে একটু সংযমী হতে হবে। আর আমাদের ধর্ম উপদেষ্টা সবাইকে অনুরোধ করেছেন, রমজানে দিনের বেলায় বাইরে যেন কেউ খাবার না খায়। এটা করলে রোজাদারদের সম্মান করা হয়।

এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম না বাড়ানোরও অনুরোধ জানান।

উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতেও রমজানে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে রাখা হয়। আর আমাদের দেশে উল্টোটা হয়, রমজানের সময় ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব, তারা যেন এসময় জিনিসপত্রের দাম না বাড়ায়। রমজানের সময় তারা যেন জিনিসপত্রের দাম যথাসম্ভব কম রাখে। এটি করতে পারলে, ভোক্তাদের সাশ্রয় হবে, তারা স্বস্তি পাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা স্বীকার করতে হবে যে এবার জিনিসপত্রের দাম গতবারের চেয়ে কম। আর অভিযান না চালিয়েও যদি জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেটা তো আরও ভালো।

এর আগে পুলিশ লাইনে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের ব্যারাক পরিদর্শন করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ন সপত র র দ ম রমজ ন র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-ভুটানের বাণিজ্য আরো সহজ করার আহ্বান

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া আরো সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তারা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের আলোচনা সভা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যের অনাবিষ্কৃত খাতগুলো নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

দুই দেশের ব্যবসায়ীরা, ফল, সবজি, মসলাসহ বেশকিছু কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখছেন। তারা উভয় দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

ভুটানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রিজিওনাল অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং অ্যান্ড কো-অপারেটিভ অফিসের (রেমকো) রিজিওনাল ডিরেক্টর দাওয়া ডাকপা। এ সময় এফবিসিসিআইর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল ও ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর (বাণিজ্য) দাওয়া শেরিং উপস্থিত ছিলেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন—এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক হাজী মো. এনায়েতউল্লাহ, ফেরদৌসী বেগম, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম আমিরুল ইসলাম ভূইয়াঁ, এফবিসিসিআইর সাধারণ পরিষদের সদস্য মো. জাকির হোসেন, শেখ আল মামুন এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ