কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুলিশের সোর্স মনে করে নাজিম খান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার প্রতিবেশী মাদক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

রবিবার (২ মার্চ) বিকেলে ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ মার্চ) গভীর রাতে যৌথ বাহিনী নাজিমখান ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকজন মাদক কারবারীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এর মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান করে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নিজাম সটকে পড়ে। এসময় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯২১ গ্রাম গাঁজা এবং ১৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। 

আকটকৃতরা হলেন- বাছড়া মন্ডলপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে গণি মিয়া (৩৪) ও গকুলা গ্রামের মৃত আফসার আলী ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২)।

পরদিন রবিবার বিকালে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে পুলিশের সোর্স ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে কুপিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মাদক ব্যবসায়ী নিজামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। তার ভাই একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় সেই প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় মাদকের সয়লাব ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজারহাট থানা পুলিশের (ওসি-তদন্ত) তছলিম উদ্দিন বলেন, “কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনেছি। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় ল ইসল ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ছবি তুললেই লাঠিপেটা, বনানীতে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ

রাজধানীর বনানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চালকদের আন্দোলন উত্তপ্তে রূপ নেয়। আন্দোলনের ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে গেলেই রিকশাচালকদের হামলার শিকার হতে হয়েছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বনানী ১১ নম্বর রোড সংযোগ সেতুর সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই সময়ে যে কোনো ব্যক্তি ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে গেলেই চালকরা তাদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন। তিনি রাইজিংবিডি ডটকমকে জানান, অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আন্দোলনের ছবি তুলতেই চালকরা তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। 

তিনি বলেন, ‘‘অফিস সহকারীর সহায়তায় কোনোমতে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছি। অটোরিকশা চালকরা বড় রামদা ও লাঠি নিয়ে যাকে পেয়েছে তাকেই আক্রমণ করেছেন।’’

বনানী সোসাইটির বাসিন্দা মোহাম্মদ আমজাদ জানান, তিনি ও তার কয়েকজন বন্ধু রাস্তায় দাঁড়ালে চালকরা তাদের লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ শুরু করেন। ছবি তুলতে গেলে আরো বেপরোয়া হয়ে দুই বন্ধুকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘‘অটোরিকশা চালকরা বস্তি থেকে লোকজন ভাড়া করে এনে সোসাইটির বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। এই ঘটনার বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরো বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।’’

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা আন্দোলন করছিল। ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালিয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ঢাকা/রায়হান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্ট্রোক করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতাল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল রোগীর
  • ছবি তুললেই লাঠিপেটা, বনানীতে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ