বন্দরে হোসিয়ারী কারখানায় অগ্নিকান্ড
Published: 2nd, March 2025 GMT
বন্দরে অগ্নিকান্ডে একটি হোসিয়ারী কারখানা পুড়ে গিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন প্রানহানির খবর পাওয়া যায়নি। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
রোববার (২ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় বন্দর থানার ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ সোনালী ব্যাংক গল্লী সংলগ্ন সামিট পাওয়ার প্লান্ট ঘেঁষে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ কারখানা মালিক রানা জানান, প্রতিদিনের মত কাজে শেষ করে রাতে বাসায় যাই। পরে রাত আড়াইটার সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানাতে পাই আমার কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এ ঘটনায় আমার ৬ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে।
বন্দর ফায়ার সার্ভিস গণমাধ্যমকে জানিয়ে, মশার কয়েল থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় হোসিয়ারী কারখানার ৩টি রুম, মেশিনারি ও বিভিন্ন মালামাল সম্পর্ন পুড়ে যায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন–এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হলে পারভেজকে একদল তরুণ ঘিরে ধরে। এ সময় তার বুকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।