সাভারে চলন্ত বাসে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংঙ্কার লুট
Published: 2nd, March 2025 GMT
ঢাকার সাভারে রাজধানী পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় বাসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেন ডাকাত দল।
রবিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সওগাতুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে, দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের রেডিও কলোনি থেকে ব্যাংক টাউন এলাকায় চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
বাসের যাত্রী নাজমুল হাসান অভি বলেন, “আজকে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে আশুলিয়ার চক্রবর্তী থেকে রাজধানী বাসে করে মিরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হই। পরে বাসটি বেলা ২টার দিকে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় পৌঁছালে যাত্রী বেশে থাকা দুইজন ব্যক্তি বাস থেকে নামার জন্য গেটে যায়। কিন্তু ওই দুই জন বাস থেকে না নেমে আরো কয়েক জনকে বাসে তোলে। পরে তারা ধারাল দেশীয় অস্ত্র বের করে বাসে থাকা ২০/২৫ জন যাত্রীকে জিম্মি করে। এসময় ডাকাত চক্রের ৬/৭ জন বাসে থাকা যাত্রীদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংঙ্কার ও মূলবান জিনিসপত্র নিয়ে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় বাস থামিয়ে নেমে যায়। পরে আমি টেকনিক্যাল নেমে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।”
এ ঘটনায় সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সওগাতুল আলম বলেন, “চলন্ত বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুট করে নিয়েছে কয়েক জন। যেই বাসে ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা চলে গেছে। বাসটি এলে চালকের বক্তব্যে বুঝা যাবে এটা ছিনতাই না ডাকাতি। এতে সাভার মডেল থানা, ডিবি ও হাইওয়ে পুলিশ এক সাথে তদন্তে নেমেছে।”
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলন ত ব স
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের দিন নিহত সুমাইয়ার বাসায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
গত বছরের জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে নিহত সুমাইয়া আক্তারের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় সুমাইয়ার বাসায় উপস্থিত হন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ সময় তার সাথে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ ও দক্ষিণঅঞ্চলের সংগঠক শওকত আলি।
এ সময় সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিহত সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের বর্তমান অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং ঈদ উপহার তুলে দেন।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “সুমাইয়ার মতো এমন অসংখ্য মানুষ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়েছেন। বর্তমান সরকার এ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে তৎপর রয়েছে। ভুক্তভোগী এসবপরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা তাদের পাশে আছি”।
পরে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিহত সুমাইয়ার মায়ের হাতে ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতোয় নাগরিক পার্টি এনসিপি নারায়ণগঞ্জ সংগঠক জোবায়ের হোসেন তামজীদ, ফয়সাল আহমেদ ফজলে রাব্বি, সোহেল খান সিদ্দিক, রাইসুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ জুলাই বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি কর্পোরেশনের ১নম্বর ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় মায়ের বাসায় ঘরে আড়াই মাস বয়সের শিশু মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের দৃশ্য দেখছিলেন সুমাইয়া আক্তার।
বারান্দায় দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে আচমকা আকাশে ওড়া হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া একটি গুলি বারান্দার গ্রিল ভেদ করে সুমাইয়ার মাথায় বিদ্ধ হয়।
এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন সুমাইয়া। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা নিথর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পথেই সুমাইয়ার মৃত্যু হয়।
বিশ বছর বয়সের তরুণী সুমাইয়া গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। স্বামী মো. জাহিদ এবং আড়াই মাস বয়সের মেয়ে সুয়াইবাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তারা।
দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে রূপ নিলে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্বামী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজ বাসা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন সুমাইয়া।